SSC Exam Hearing: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি চ্যালেঞ্জ মামলার শুনানির দিন প্রকাশিত হল, বাতিল হবে গেজেট?

SSC Exam Hearing: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) সংক্রান্ত মামলার শুনানি অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে হতে চলেছে। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে চাকরিপ্রার্থীরা সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২১শে জুলাই। এই দিনটি শুধুমাত্র এই মামলার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ওই দিনই WBSCC ফর্ম পূরণের শেষ দিন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলারও শুনানি রয়েছে।
মামলার প্রেক্ষাপট
এই মামলার মূলে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) নতুন গেজেট এবং পরীক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত একাধিক বিতর্ক। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে প্রধানত যে বিষয়গুলি নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে, সেগুলি হল:
- পরীক্ষার নিয়মাবলী: পরীক্ষা ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী হবে নাকি ২০২৫ সালের নতুন নিয়ম মেনে হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
- অযোগ্য প্রার্থীদের যোগ্যতা: “টেন্টেড” বা অযোগ্য প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
- শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর: নতুন নিয়মে শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা নিয়ে নতুন চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে তীব্র আপত্তি রয়েছে।
- বয়সসীমা: বয়স ছাড়ের বিষয়টি নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। হাইকোর্ট এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র ২০১৬ সালের কর্মরত শিক্ষকরাই বয়স ছাড়ের সুবিধা পাবেন, নতুন চাকরিপ্রার্থীরা নন। এই সিদ্ধান্ত নতুন চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে এবং তারা এই বিষয়টি নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
নতুন চাকরিপ্রার্থীদের উদ্বেগ
বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে কোনো নতুন পরীক্ষা না হওয়ায় নতুন চাকরিপ্রার্থীরা ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন। তাদের প্রধান দাবি হল, শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ ১০ নম্বর বাতিল করা হোক। তারা চায়, পরীক্ষা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হোক, যাতে ভবিষ্যতে আবার কোনো নিয়োগ প্যানেল বাতিল না হয়। তাদের মতে, যদি পরীক্ষা নিরপেক্ষভাবে হয়, তাহলে তারা যেকোনো নিয়ম মেনে নিতে প্রস্তুত।
সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা
সুপ্রিম কোর্টের ১৪ নম্বর কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে। সর্বোচ্চ আদালতই এখন সিদ্ধান্ত নেবে যে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারা প্রকাশিত গেজেটটি বৈধ কিনা। যেহেতু এই গেজেটটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই প্রকাশিত হয়েছিল, তাই এই মামলার রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। সমস্ত চাকরিপ্রার্থী এখন তাকিয়ে আছেন ২১শে জুলাইয়ের দিকে, কারণ এই দিনের রায়ের উপরেই নির্ভর করছে তাদের ভবিষ্যৎ। এই শুনানি শুধুমাত্র আইনি লড়াইয়ের নিষ্পত্তি নয়, এটি রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে।