SSC Recruitment: SSC নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবারও জট, হাইকোর্টে নতুন মামলা, বিপাকে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী?

SSC Recruitment: এসএসসি (SSC) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। একদিকে যখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে, ঠিক তখনই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও উঠল প্রশ্ন। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (West Bengal School Service Commission) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এর ফলে গোটা প্রক্রিয়াটি আবারও আইনি জটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কী কারণে এই মামলা?
মামলাকারীদের মূল অভিযোগ, এসএসসির নতুন নিয়মাবলীতে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ৪৪ হাজার শূন্যপদের জন্য প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় এবং অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
নম্বরের বিভাজনে বিতর্ক
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ১০, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য ১০, ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’-এর জন্য ১০ এবং ইন্টারভিউয়ের জন্য ১০ নম্বর ধার্য করা হয়েছে। মামলাকারীদের প্রশ্ন, যে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি নিয়ে ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেখানে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? তাঁদের মতে, এটি অবৈধভাবে নিযুক্তদের সুবিধা করে দেওয়ার একটি কৌশল হতে পারে।
বয়সসীমা ও অন্যান্য অভিযোগ
চাকরিপ্রার্থীরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড়ের বিষয়টি সঠিকভাবে বিবেচনা করা হয়নি। এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি ‘চিহ্নিত অযোগ্য’দের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারীরা দাবি করেছেন, নতুন নিয়মাবলী সেই নির্দেশ মেনে তৈরি হয়নি।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই পরীক্ষা প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে, তাই আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে মামলাকারীদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে এবং দ্রুত শুনানির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং উদয় কুমার এই মামলা শোনার অনুমতি দিয়েছেন, যার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এই আইনি লড়াইয়ের ফলে রাজ্যের কয়েক হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। একদিকে যেমন স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি উঠছে, তেমনই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বহু মানুষের স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কাও বাড়ছে। এখন দেখার, আদালত এই জটিলতার অবসান ঘটিয়ে কবে নতুন দিশা দেখাতে পারে।