SSC Teacher Protest: “সোমবারের মধ্যে দেখা করতে হবে শিক্ষামন্ত্রীকে নাহলে…” হুঙ্কার চাকরিহারাদের

SSC Teacher Protest: সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে প্যানেল বাতিলের কারণে চাকরি হারিয়েছেন বহু শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের যোগ্য বলে দাবি করছেন এবং সম্মান ও চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য তাঁরা পথে নেমেছেন। এই ঘটনা রাজ্য শিক্ষা মহলে এক গভীর সংকট ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সোমবারের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী না দেখা করলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন।
প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি
জানা গেছে, ১৭টি দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি শিক্ষক নিয়োগ প্যানেল বাতিল করা হয়। কিন্তু চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের দাবি, তাঁরা সম্পূর্ণ যোগ্য এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। সাম্প্রতিককালে সুপ্রিম কোর্টের কিছু পর্যবেক্ষণও তাঁদের এই দাবিকে সমর্থন করে বলে তাঁরা মনে করছেন। তা সত্ত্বেও, তাঁরা এখনও কর্মহীন।
এই পরিস্থিতিতে, যোগ্য শিক্ষকরা বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন। সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি নির্দেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁরা তাঁদের প্রতিবাদের স্থান সাময়িকভাবে পরিবর্তন করলেও, আন্দোলন বন্ধ করেননি। তাঁদের মূল দাবি, শিক্ষামন্ত্রী এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অবিলম্বে বৈঠক করে সমস্যার সমাধান এবং সম্মানের সঙ্গে চাকরিতে পুনর্বহাল।
শিক্ষকদের দাবি ও পরবর্তী পদক্ষেপ
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য তাঁরা সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছেন। যদি এর মধ্যে কোনও বৈঠক না হয়, তাহলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই সমস্ত সংসদ সদস্যের (এমপি) কাছে তাঁদের পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন এবং সমর্থন চেয়েছেন, দলমত নির্বিশেষে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনতাঁরা আরও জানাচ্ছেন যে, অতীতেও তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ইমেল এবং হার্ড কপি চিঠি পাঠিয়ে বৈঠকের আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। এই মুহূর্তে তাঁরা একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি চাইছেন যেখানে তাঁদের যোগ্য বলে উল্লেখ করা থাকবে।
আইনি প্রেক্ষাপট ও মানবিক আবেদন
এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিভিন্ন নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণের কথা উঠে আসছে। চাকরিহারা শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, হাইকোর্ট তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মানবিক দিক থেকে বিষয়টি দেখার কথা বলেছে। তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহালের ব্যবস্থা করা হোক। তাঁদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র চাকরি ফিরে পাওয়ার নয়, নিজেদের সম্মান পুনরুদ্ধারের লড়াই বলেও তাঁরা উল্লেখ করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে প্রায় ১৯,০০০ চাকরিহারা শিক্ষক প্রভাবিত, এবং তাঁরা ২০০ জনের উপস্থিতির সীমা মেনে পর্যায়ক্রমে এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাঁদের এতদিনের শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনকে কলুষিত করার চেষ্টারও তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর এই যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের দাবিদাওয়া ও মানবিক আবেদনকে কতটা গুরুত্ব দেয় এবং এই জটিল সমস্যার সমাধানে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এই অনিশ্চয়তা দূর করে যোগ্য শিক্ষকদের সম্মান ও কর্মজীবন ফিরিয়ে দেওয়াই এখন সময়ের দাবি।