ডিএ

DA Case: ব্রেকিং নিউজ! ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে মডিফিকেশন এপ্লিকেশন করলো রাজ্য

DA Case: ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (DA) দেওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য সরকার ডিএ মেটানোর নিয়মাবলী তৈরির জন্য আরও ছয় মাস সময় চেয়েছে। এই আবেদনটি ডিএ মেটানোর জন্য সময় চাওয়া হয়নি, বরং ডিএ প্রদানের নিয়ম বা নীতি চূড়ান্ত করার জন্য এই সময় প্রার্থনা করা হয়েছে।

আবেদনের প্রেক্ষাপট

২০২৫ সালের ১৬ই মে, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-এর ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের পরেই রাজ্য সরকার এই নতুন আবেদনটি দাখিল করেছে। রাজ্য সরকারের যুক্তি হলো, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (SAT) আগেই ডিএ প্রদানের নিয়মাবলী তৈরির জন্য বলেছিল, এবং সেই নিয়মাবলী চূড়ান্ত করতেই এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন।

আবেদনের মূল বিষয়

রাজ্য সরকারের এই আবেদনের মূল বিষয়গুলি হলো:

  • নিয়মাবলী তৈরির জন্য সময়: ডিএ কীভাবে প্রদান করা হবে, তার একটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলী বা প্রিন্সিপাল তৈরি করার জন্য ছয় মাস সময় চাওয়া হয়েছে।
  • ডিএ মেটানোর সময়সীমা নয়: এই আবেদনটি বকেয়া ডিএ মেটানোর সময়সীমা বাড়ানোর জন্য করা হয়নি।
  • SAT-এর নির্দেশ পালন: রাজ্য সরকার জানাচ্ছে যে তারা SAT-এর নির্দেশ মেনেই এই নিয়মাবলী তৈরি করতে চায়।

মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ

এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ৪ঠা আগস্ট। রাজ্য সরকারের এই মডিফিকেশন এবং এক্সটেনশনের আবেদনটি জুন মাসের ২৭ তারিখে অর্থাৎ আজকেই ফাইল করা হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের এই আবেদনে সাড়া দেয় কিনা। যদি আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে, তাহলে ডিএ পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও কিছুটা দীর্ঘায়িত হতে পারে।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

এই ঘটনা রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে ডিএ-র জন্য অপেক্ষা করছেন এবং এই মামলাটির দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরেই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। রাজ্য সরকার একদিকে যেমন নিয়মাবলী তৈরির কথা বলছে, তেমনই কর্মীরা চাইছেন দ্রুত তাদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হোক।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button