Mamata Banerjee: আজ সুপ্রিম কোর্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি

Mamata Banerjee: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) সংক্রান্ত মামলায় এক নতুন মোড়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছে। একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, আত্মদীপ, এই মামলাটি দায়ের করেছে, যেখানে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে প্রতিপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ২৬,০০০ এসএসসি চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন না করা এবং আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে মন্তব্য করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মামলার মূল বিষয়
এই মামলার শুনানি ২১শে জুলাই, ২০২৫-এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বি.আর. গাভাই, বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি এন.ভি. আনজারিয়ার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। আদালতের এক নম্বর কোর্টে মামলার ক্রমিক সংখ্যা তিন, যার অর্থ দিনের শুরুতেই এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হতে পারে। আবেদনকারীরা সুপ্রিম কোর্টের ৮ই এপ্রিল, ২০২৫-এর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন, যেখানে ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু রাজ্য সরকার তা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আদালতের নির্দেশ না মানার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে:
- দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থীদের চিহ্নিত না করা: রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত টেন্টেড প্রার্থীদের চিহ্নিত করতে বা তাদের আলাদা করতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
- বেতন ফেরত না নেওয়া: এই প্রার্থীদের কাছ থেকে বেতন ফেরত নেওয়ার জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, এমনকি বেতনের ওপর সুদ আদায়ের নির্দেশও মানা হয়নি।
- নির্দেশিকার অভাব: রাজ্য সরকার প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে কোনও নির্দেশিকা বা বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যালোচনা
সুপ্রিম কোর্ট এখন পর্যালোচনা করবে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতের নির্দেশ মেনে চলছে কিনা। যদি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ পালনে ক্রমাগত অবহেলা দেখা যায়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। এই মামলাটি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলের নজর এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে, যেখানে এই মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। রাজ্য সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে এবং এর প্রভাব রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাতেও পড়তে পারে।