Download WB Holiday Calendar App 2026

Download Now!
শিক্ষা

Taruner Swapna Scheme: তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ১০,০০০ টাকা পাওয়ার নতুন নিয়ম! পড়ুয়ারা এই কাজটি না করলে টাকা ঢুকবে না

Taruner Swapna Scheme: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী উদ্যোগ হলো ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প (Taruner Swapna Scheme)। ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার ঘটাতে এবং পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাবলেট বা স্মার্টফোন কেনার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করে থাকে। তবে ২০২৫ সালের জন্য এই প্রকল্পে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং জালিয়াতি রুখতে রাজ্য সরকার এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী বা অভিভাবক হন, তবে নতুন নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি, অন্যথায় আবেদনের টাকা পেতে সমস্যা হতে পারে।

২০২৫ সালের নতুন আপডেট: সেলফ ডিক্লারেশন বাধ্যতামূলক

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় যে পরিবর্তনটি এসেছে তা হলো “Self-Declaration” বা স্ব-ঘোষণা। আগে স্কুল থেকে নাম নথিভুক্ত করার পর সরাসরি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসত। কিন্তু এবার নতুন নিয়মে:

  • স্কুল থেকে পোর্টালে তথ্য আপলোড করার পর পড়ুয়ার মোবাইলে একটি SMS আসবে।
  • এরপর পড়ুয়াকে নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে নিজের তথ্য যাচাই করে ‘Self-Declaration’ জমা দিতে হবে।
  • আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক, কারণ OTP-র মাধ্যমে এই ভেরিফিকেশন হবে।
  • এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা ঢুকবে না।

প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

বিষয়বিবরণ
প্রকল্পের নামতরুণের স্বপ্ন প্রকল্প (Taruner Swapna Scheme)
উদ্যোক্তাপশ্চিমবঙ্গ সরকার
সুবিধাভোগীএকাদশ-দ্বাদশ, ITI, পলিটেকনিক ও নির্দিষ্ট স্নাতকের ছাত্রছাত্রী
আর্থিক অনুদান১০,০০০ টাকা (এককালীন)
উদ্দেশ্যট্যাবলেট/মোবাইল/পিসি কেনা

কারা আবেদনের যোগ্য? (Eligibility Criteria)

শুধুমাত্র আবেদন করলেই হবে না, টাকা পাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে:

  • শিক্ষার্থীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • সরকারি, সরকার-পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত হতে হবে। এছাড়াও মাদ্রাসা, আইটিআই (ITI) এবং পলিটেকনিকের ছাত্রছাত্রীরাও এর আওতায় পড়বে।
  • পরিবারের বার্ষিক আয় ২,০০,০০০ টাকার কম হতে হবে।
  • পূর্ববর্তী সমস্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, কোনো ব্যাকলগ থাকা যাবে না।
  • নিজস্ব নামের একটি চালু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে যা পশ্চিমবঙ্গের কোনো শাখায় অবস্থিত।

আবেদন পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র

আবেদন প্রক্রিয়াটি মূলত স্কুলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। পড়ুয়াদের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ‘Annexure-F’ ফর্মটি পূরণ করে জমা দিতে হবে। এর সাথে জমা দিতে হবে:

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন
  • আধার কার্ডের কপি।
  • ব্যাংক পাসবুকের প্রথম পাতা বা ক্যানসেল চেক।
  • আয়ের শংসাপত্র ও বসবাসের প্রমাণপত্র।
  • সক্রিয় মোবাইল নম্বর।

স্কুল কর্তৃপক্ষ বাংলার শিক্ষা পোর্টালে (Banglar Shiksha Portal) তথ্য আপলোড করার পর, NPCI ভেরিফিকেশন হবে। সবশেষে পড়ুয়াকে selfdeclaration.wb.gov.in পোর্টালে গিয়ে নিজের ঘোষণা জমা দিতে হবে। টাকা পাওয়ার পর অবশ্যই ডিভাইস কেনার রসিদ বা বিল স্কুলে জমা দিতে হবে।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button