Teacher’s BLO Duty: শিক্ষকদের BLO ডিউটি নয়, অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করল পর্ষদ

Teacher’s BLO Duty: বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শিক্ষকদের বুথ লেভেল অফিসার (BLO) হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে, যা তাদের মূল একাডেমিক দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করছে। এই পদক্ষেপটি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে এবং এর থেকে মুক্তির জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।
মূল সমস্যা
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের নির্বাচনের কাজে, বিশেষ করে বুথ লেভেল অফিসার (BLO) হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে, তারা তাদের ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন না। এটি কেবল মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্তরেই সীমাবদ্ধ নেই, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদেরও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
শিক্ষা পর্ষদের উদ্বেগ
এই সমস্যার কারণে রাজ্যের দুটি প্রধান শিক্ষা পর্ষদ, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
- উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ: সংসদ সকল জেলাশাসক এবং স্কুল পরিদর্শকদের কাছে একটি অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের BLO-এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সংসদের মতে, সামনেই উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টার এবং প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা রয়েছে, যা সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের স্কুলে থাকা অত্যন্ত জরুরি।
- মধ্যশিক্ষা পর্ষদ: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সরাসরি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে, যাতে তাদের বোর্ডের কর্মী এবং আধিকারিকদের নির্বাচনের কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।
প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থা
উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের অবস্থাও বেশ সঙ্গীন। প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষকের সংখ্যা এমনিতেই কম। তার উপর যদি তাদের BLO-এর মতো শিক্ষা বহির্ভূত কাজে নিযুক্ত করা হয়, তাহলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেকেই মনে করেন যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেরও উচিত এই বিষয়ে নিজেদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো।
সমাধানের পথে
এই সমস্যার সমাধান হিসেবে একটাই দাবি উঠছে – শিক্ষকদের শুধুমাত্র শিক্ষাদানের কাজেই নিযুক্ত রাখা হোক। ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলানোর জন্য অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মীদের নিযুক্ত করা যেতে পারে। যদি অন্যান্য বিভাগের কর্মীরা এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তবে শিক্ষকদের এই কাজের জন্য চাপ দেওয়া উচিত নয়। শিক্ষকরা হলেন দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর, এবং তাদের মূল কাজ হলো ছাত্রছাত্রীদের সঠিক শিক্ষাদান করা। তাই তাদের মনোযোগ যাতে অন্যদিকে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত জরুরি।