Teachers BLO Duty: শিক্ষকদের জন্য কড়া নির্দেশ! বুথ লেভেল অফিসারের দায়িত্ব না নিলে জেল ও জরিমানা!

Teachers BLO Duty: মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন, বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) হিসাবে সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকাটি ওই জেলার সমস্ত সহকারী শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য এবং এটি উপেক্ষা করলে গুরুতর পরিণতির সম্মুখীন হতে পারে।
নির্দেশিকার মূল বিষয়বস্তু
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ও জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কার্যালয় থেকে জারি করা এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী, সমস্ত সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বিএলও হিসাবে নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক। Electoral Roll Revision-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য এই নিয়োগ অপরিহার্য।
শিক্ষকদের অনীহা এবং প্রশাসনের কড়া মনোভাব
নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, কিছু সহকারী শিক্ষক এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে বা পালন করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এই বিষয়টিকে প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং এটিকে বিধিবদ্ধ দায়িত্বের লঙ্ঘন বলে মনে করছে। প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, বিএলও-র দায়িত্ব গ্রহণ বাধ্যতামূলক এবং এতে কোনও প্রকার অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না।
আইনি ব্যবস্থা এবং পরিণতি
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যদি কোনও শিক্ষক এই দায়িত্ব পালনে অস্বীকার করেন বা অবহেলা করেন, তবে এটিকে সরকারি দায়িত্বের লঙ্ঘন হিসাবে গণ্য করা হবে। এর ফলে, The Representation of the People Act, 1950-এর ৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে এক বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।
সারা রাজ্যের চিত্র
যদিও এই নির্দেশিকাটি মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে জারি করা হয়েছে, তবে এটি স্পষ্ট যে এই সমস্যাটি শুধু মুর্শিদাবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সারা রাজ্যের একটি সাধারণ চিত্র। অনেক জেলাতেই সহকারী শিক্ষকরা বিএলও-র দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করছেন এবং প্রশাসন এই বিষয়ে কঠোর মনোভাব পোষণ করছে।
এই নির্দেশিকাটি শুধুমাত্র একটি সরকারি আদেশ নয়, এটি গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়ার অংশ। ভোটার তালিকা সংশোধন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিএলও-দের ভূমিকা অপরিসীম। তবে শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রশাসনের এই কড়া মনোভাব এটি নিশ্চিত করে যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করবে না সরকার।