শিক্ষা

TET Mandatory Case: শিক্ষকদের জন্য বড় স্বস্তির খবর, TET মামলায় সুপ্রীম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ

TET Mandatory Case: ত্রিপুরা রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর এসেছে সুপ্রীম কোর্ট থেকে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে টেট (TET) বাধ্যতামূলক করার মামলায় এক অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে, আপাতত শিক্ষকদের চাকরি বহাল থাকছে। এই রায়টি ত্রিপুরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

মামলার প্রেক্ষাপট

এই মামলাটির সূত্রপাত হয় যখন ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের জন্য টেট পাশ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বহু শিক্ষক আদালতে যান। ত্রিপুরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয় যে, ২০০১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ২৯শে জুলাইয়ের মধ্যে নিযুক্ত শিক্ষকদের জন্য টেট বাধ্যতামূলক নয়। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ত্রিপুরা সরকার সুপ্রীম কোর্টে মামলা দায়ের করে।

সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ

সুপ্রীম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসি-র বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। গত ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫-এ হওয়া শুনানির পর আদালত নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশগুলি দিয়েছে:

  • আপাতত চাকরি বহাল: আদালত জানিয়েছে যে, ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, যে সমস্ত শিক্ষকরা ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে নিযুক্ত হয়েছেন, তাদের আপাতত টেট পাশ করার কোনো প্রয়োজন নেই। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাদের চাকরি থেকে সরানো যাবে না।
  • কার্যকরী পরিষেবা প্রদানের নির্দেশ: সুপ্রীম কোর্ট ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে যে, এই শিক্ষকদের সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা এবং কার্যকরী পরিষেবা প্রদান করতে হবে।
  • মামলার পরবর্তী শুনানি: এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫, দুপুর ২টোয়।

কেন এই রায়টি গুরুত্বপূর্ণ?

এই রায়টি শুধুমাত্র ত্রিপুরার শিক্ষকদের জন্যই নয়, সারা দেশের শিক্ষক সমাজের জন্য একটি আশার আলো নিয়ে এসেছে। এই রায়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন
  • NCTE-র ২০০১ সালের গাইডলাইন: আদালত মেনে নিয়েছে যে, ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে নিযুক্ত শিক্ষকরা NCTE-র ২০০১ সালের গাইডলাইন অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন। তাই পরবর্তীকালে চালু করা নিয়ম তাদের উপর প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়।
  • রিভিউ পিটিশনের প্রভাব: সারা দেশে টেট বাধ্যতামূলক করার রায় নিয়ে একাধিক রিভিউ পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। বিচারপতিরা মনে করছেন যে, সেই রিভিউ পিটিশনগুলির রায় এই মামলার উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
  • শিক্ষকদের মানসিক স্বস্তি: এই রায়ের ফলে হাজার হাজার শিক্ষক এবং তাদের পরিবার মানসিক ভাবে স্বস্তি পেয়েছে। চাকরির অনিশ্চয়তা আপাতত দূর হওয়ায় তারা নিজেদের কাজে আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ

সুপ্রীম কোর্ট এই মামলায় সমস্ত পক্ষকে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে রেসপন্ডেন্টদের কাউন্টার এফিডেভিট এবং তারপর রিজয়েন্ডার এফিডেভিট জমা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানিতে উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শোনার পর আদালত চূড়ান্ত রায় দেবে।

আপাতত, এই অন্তর্বর্তীকালীন রায়টি শিক্ষকদের জন্য একটি বড় জয়। এখন দেখার বিষয়, আগামী দিনে এই মামলার জল কোন দিকে গড়ায়।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button