TET Mandatory: সকল শিক্ষকদের TET বাধ্যতামূলক? সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের পদক্ষেপ

TET Mandatory: সম্প্রতি, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সারা দেশে শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (TET) বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে। এই রায় নিয়ে সারা দেশের শিক্ষক মহলে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে, এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই রায়ের বিরুদ্ধে একটি রিভিশন পিটিশন দাখিল করার জন্য রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের অবস্থান
উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই পদক্ষেপের পিছনে মূল কারণ হল রাজ্যের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের স্বার্থরক্ষা করা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, যে সমস্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতাকে উপেক্ষা করা অনুচিত। তিনি তার টুইটার হ্যান্ডেলে হিন্দি এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই এই বার্তা দিয়েছেন, যা এই বিষয়ে সরকারের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করেছে। সরকারের এই পদক্ষেপটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনো রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের TET বাধ্যতামূলক করার রায়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সারা দেশে শিক্ষার মান উন্নত করা এবং যোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ নিশ্চিত করা। আদালত মনে করে যে, TET পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষকদের জ্ঞান এবং দক্ষতার একটি ন্যূনতম মান নির্ধারণ করা সম্ভব। এই রায়কে অনেক শিক্ষাবিদ স্বাগত জানালেও, অনেক রাজ্যেই এর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে যেখানে বহু বছর ধরে শিক্ষকরা TET ছাড়াই কাজ করছেন।
গুরুত্বপূর্ণ দিক
এই পরিস্থিতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
- অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ: উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের হাজার হাজার অভিজ্ঞ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হতে পারে। যারা বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন, তাদের জন্য এই পদক্ষেপ একটি বড় স্বস্তি।
- শিক্ষার মানের প্রশ্ন: TET বাধ্যতামূলক না হলে শিক্ষার মানের উপর তার কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। একাংশের মতে, TET পরীক্ষা শিক্ষকদের যোগ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি।
- অন্যান্য রাজ্যের ভূমিকা: উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই পদক্ষেপের পর অন্যান্য রাজ্যগুলি কী ভূমিকা নেয়, সেদিকেই এখন সবার নজর। এই ঘটনাটি অন্যান্য রাজ্য সরকারদেরও একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করতে পারে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই রিভিশন পিটিশন দাখিল করার সিদ্ধান্ত এই মামলায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এখন দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং অন্যান্য রাজ্য সরকারগুলিই বা কী পথে হাঁটে। এই সংক্রান্ত সমস্ত নতুন খবরের জন্য আমাদের সাথে থাকুন। আমরা এই বিষয়ে পরবর্তী সমস্ত আপডেট আপনাদের কাছে পৌঁছে দেব।