TET Mandatory: শিক্ষকদের টেট বাধ্যতামূলক, তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ

TET Mandatory: সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রাজ্যের সমস্ত কর্মরত শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (TET) বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক প্রভাবিত হবেন। এই বিষয়ে পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদকে (DPSC) বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পটভূমি: সুপ্রিম কোর্টের রায়
গত ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার রায়ে জানায় যে, যে সমস্ত কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছরের বেশি বাকি আছে, তাদের প্রত্যেককে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই রায়টি সমগ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন এনেছে এবং এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রেও পড়তে শুরু করেছে। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশকে কার্যকর করতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
পর্ষদের নতুন নির্দেশিকা
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবের পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের কাছে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, এই রায়ের ফলে কোন কোন শিক্ষক প্রভাবিত হচ্ছেন, তাদের একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করতে হবে। এই তালিকাটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পর্ষদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হওয়ায় শিক্ষক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কি কি তথ্য জমা দিতে হবে?
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী, প্রভাবিত শিক্ষকদের নিম্নলিখিত বিবরণ জমা দিতে হবে:
- জেলার নাম
- সার্কেলের নাম
- শিক্ষকের নাম
- পদ (প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষক)
- এমপ্লয়ি আইডি
- জন্ম তারিখ
- চাকরিতে যোগদানের তারিখ
- অবসরের তারিখ
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- প্রশিক্ষণগত যোগ্যতা
কারা প্রভাবিত হবেন?
এই নির্দেশিকার মূল উদ্দেশ্য হলো সেই সমস্ত শিক্ষকদের চিহ্নিত করা, যাদের ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখের হিসাবে চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছরের বেশি বাকি আছে এবং যারা এখনো পর্যন্ত টেট উত্তীর্ণ নন। অবসরের তারিখ থেকে সহজেই বোঝা যাবে কোন শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ কতদিন বাকি আছে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
এই তথ্য সংগ্রহের পর পর্ষদ পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সম্ভবত, প্রভাবিত শিক্ষকদের জন্য বিশেষ টেট পরীক্ষার আয়োজন করা হতে পারে অথবা তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হতে পারে। তবে, এই বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই প্রক্রিয়াটি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।