শিক্ষা

TET Mandatory: আজ সুপ্রিমকোর্টে ত্রিপুরা টেট মামলার রায় কি প্রভাব ফেলবে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের উপর?

TET Mandatory: সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষকদের জন্য টেট বাধ্যতামূলক করার মামলাটি এক নতুন মোড় নিয়েছে। ত্রিপুরা থেকে আসা একটি মামলার শুনানিতে, শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠেছে। এই মামলার রায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ সারাদেশের শিক্ষকরা এই রায়ের দিকে তাকিয়ে আছেন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা এই মামলাটির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো তুলে ধরব।

মামলার প্রেক্ষাপট

এই মামলাটি ত্রিপুরা সরকার এবং সেখানকার কিছু শিক্ষকের মধ্যে চলছে। ত্রিপুরা সরকার একটি নতুন নিয়মের মাধ্যমে জানিয়েছে যে, চাকরিরত অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও সব শিক্ষককে টেট পাস করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা আদালতে যান এবং ত্রিপুরা হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষেই রায় দেয়। ত্রিপুরা হাইকোর্ট বলে যে, ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের জন্য টেট বাধ্যতামূলক নয়।

ত্রিপুরা সরকারের যুক্তি হলো, শিক্ষার মান উন্নত করতে এবং রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে, সব শিক্ষকের টেট পাস করা আবশ্যক। অন্যদিকে, শিক্ষকদের বক্তব্য হলো, যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন এবং পুরনো নিয়ম অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন, তাদের উপর নতুন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়পূর্ণ।

সুপ্রিম কোর্টের শুনানি

ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। এই মামলাটির শুনানি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে চলছে। এর আগে, ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ বিচারপতি দত্তের বেঞ্চ এক রায়ে জানিয়েছিল যে, সকল শিক্ষকের জন্যই টেট বাধ্যতামূলক। তাই এবারের মামলার রায় কী হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, এই মামলাটি আজ, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫, কোর্ট নম্বর ৮-এ বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগস্টিন জর্জ মার্সির বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। মামলাটি তালিকার ৫৬ নম্বরে থাকায়, শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

রায়ের সম্ভাব্য প্রভাব

এই মামলার রায় যা-ই হোক না কেন, তার প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী।

  • যদি রায় শিক্ষকদের পক্ষে যায়: যদি সুপ্রিম কোর্ট ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে, তবে পুরনো নিয়মে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরা স্বস্তি পাবেন। তাদের আর নতুন করে টেট পরীক্ষা দেওয়ার চাপ থাকবে না। এই রায় অন্য রাজ্যের শিক্ষকদের জন্যও একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।
  • যদি রায় সরকারের পক্ষে যায়: যদি সুপ্রিম কোর্ট তার আগের রায় বহাল রাখে এবং টেট বাধ্যতামূলক করে, তবে চাকরিরত বহু শিক্ষককে নতুন করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে। এর ফলে, অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষকও চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

এই মামলার রায় শুধুমাত্র ত্রিপুরা বা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্যই নয়, বরং সারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। এখন দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্ট কোন দিকে রায় দেয় এবং তার ফলে শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ কোন পথে চালিত হয়।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button