TET Mandatory: বড় খবর! টেট মামলায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি, NCTE-র নিয়ম অনুযায়ী পুরোনো শিক্ষকদের চাকরি সুরক্ষিত?

TET Mandatory: শিক্ষকদের জন্য টেট পাশ বাধ্যতামূলক করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, NCTE (National Council for Teacher Education)-এর নিয়মাবলীর সঠিক ব্যাখ্যা এবং তার ভিত্তিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের চাকরি সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং তার প্রভাব
গত ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ সুপ্রিম কোর্ট একটি নজিরবিহীন রায়ে জানায় যে সমস্ত শিক্ষকদের জন্য টেট পাশ বাধ্যতামূলক, এমনকি পদোন্নতির ক্ষেত্রেও। এই রায়ের ফলে, বিশেষ করে ২৩শে আগস্ট, ২০১০-এর আগে নিযুক্ত শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই রায়ের পরই শিক্ষক মহল থেকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন এবং NCTE-র নিয়ম
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে NCTE-র ২৩শে আগস্ট, ২০১০ সালের বিজ্ঞপ্তির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে NCTE-র নিয়মাবলীর সঠিক বিচার করা হয়নি। আসুন দেখে নিই NCTE-র ওই বিজ্ঞপ্তিতে ঠিক কী বলা হয়েছিল:
- প্যারাগ্রাফ ৪: এই নিয়ম অনুযায়ী, যে সমস্ত শিক্ষক ২৩শে আগস্ট, ২০১০-এর আগে নিযুক্ত হয়েছেন, তাদের জন্য NCTE দ্বারা নির্ধারিত ন্যূনতম যোগ্যতা (যার মধ্যে টেট পাশ অন্তর্ভুক্ত) অর্জন করা বাধ্যতামূলক নয়। অর্থাৎ, পুরনো শিক্ষকদের জন্য টেট বাধ্যতামূলক নয়।
- প্যারাগ্রাফ ৫: এই তারিখে বা তার পরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে NCTE দ্বারা নির্ধারিত ন্যূনতম যোগ্যতা এবং টেট পাশ বাধ্যতামূলক হবে।
আবেদনের মূল বক্তব্য
প্রধানমন্ত্রীর কাছে করা আবেদনে মূলত কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে:
- ২৩শে আগস্ট, ২০১০-এর আগে নিযুক্ত সমস্ত শিক্ষকদের সার্ভিস টেট ছাড়াই বৈধ এবং সুরক্ষিত রাখা উচিত।
- টেট-এর শর্ত শুধুমাত্র পদোন্নতির ক্ষেত্রে কার্যকর করা যেতে পারে, কিন্তু চাকরির সুরক্ষার জন্য নয়।
- NCTE-র নিয়মাবলীকে মান্যতা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা হোক, যাতে শিক্ষা ব্যবস্থায় গতিশীলতা বজায় থাকে এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরে আসে।
ভবিষ্যৎ কী?
এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ৮ টি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। আদালত খুললে তার শুনানি হবে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন লক্ষ লক্ষ শিক্ষক। NCTE-র নিয়ম অনুযায়ী পুরনো শিক্ষকদের স্বস্তি মেলার একটি বড় সুযোগ রয়েছে। এই সংক্রান্ত পরবর্তী আপডেট পেলেই আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।