TET Mandatory: সাম্প্রতিক একটি মামলায় সমস্ত শিক্ষকদের জন্য টেট পাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক রাজ্য এবং শিক্ষক সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান কী এবং কবে এই মামলার শুনানি হতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কোন কোন রাজ্য ও সংগঠন রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে?
সুপ্রিম কোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, একাধিক রাজ্য ও শিক্ষক সংগঠন এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পিটিশন হলো:
- ঝাড়খণ্ড: অখিল ঝাড়খণ্ড প্রাথমিক শিক্ষক সঙ্ঘের পক্ষ থেকে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।
- উত্তর প্রদেশ: উত্তর প্রদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সঙ্ঘের পক্ষ থেকেও একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। এই মামলাটি সদ্য দাখিল করা হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত শুনানির কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।
- সর্বভারতীয় প্রাথমিক শিক্ষক ফেডারেশন: সারা ভারত জুড়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের এই সংগঠনটিও দুটি পৃথক রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে, যার মধ্যে একটি মহারাষ্ট্র রাজ্যকে প্রতিপক্ষ করে দাখিল করা হয়েছে।
- উত্তর প্রদেশ সরকার: উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যা এই সিরিজের প্রথম পিটিশনগুলোর মধ্যে একটি।
বর্তমানে মোট ছয়টি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে এবং উত্তরাখণ্ড থেকেও পিটিশন দাখিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান কী?
এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়নি। তবে, শিক্ষকরা মনে করছেন যে রাজ্য সরকার সম্ভবত রিভিউ পিটিশনের পথেই হাঁটবে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, যদি রাজ্য সরকার এই রায় মেনে নেয় এবং সমস্ত শিক্ষকদের জন্য টেট পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কর্মরত শিক্ষকদের আস্থা হারাতে পারে। তাই, শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দিতে এবং উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট রাখতে রাজ্য সরকারের কাছে রিভিউ পিটিশন দাখিল করাই একমাত্র বিকল্প পথ।
মামলার শুনানি কবে হবে?
এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে দশেরার ছুটি চলছে, যা এই সপ্তাহ জুড়ে চলবে। আগামী ৬ই অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার পরেই এই রিভিউ পিটিশনগুলির শুনানির তারিখ নির্ধারিত হবে। আশা করা হচ্ছে যে, কোর্ট খোলার পর দ্রুততার সঙ্গে এই মামলাগুলির শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই সংক্রান্ত পরবর্তী আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ এবং রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই মামলার রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।