TET Protest: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় নজিরবিহীন বিক্ষোভ, অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে সরব ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা

TET Protest: মঙ্গলবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা চলাকালীন এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী। সভা চলাকালীনই প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কী ঘটেছিল মুখ্যমন্ত্রীর সভায়?
মুখ্যমন্ত্রী যখন বক্তব্য রাখছিলেন, সেই সময়ই দর্শকদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে পড়েন। তাঁদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “অবিলম্বে নতুন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে” এবং “মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই”। এই বিক্ষোভের জেরে সাময়িকভাবে বক্তব্য থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিক্ষোভকারীদের সভা চালিয়ে যেতে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি কী?
বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা ২০২২ সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। শূন্যপদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি ফল প্রকাশের পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত নিয়োগপত্র হাতে পাননি তাঁরা। তাঁদের মূল দাবিগুলি হল:
- অবিলম্বে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের জন্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
- দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করতে হবে।
- মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
মুখ্যমন্ত্রী সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রায় ২০-২৫ জন চাকরিপ্রার্থী সেখানে থেকে যান। এক পুলিশ আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের দাবিদাওয়া শোনেন। চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের সমস্ত দাবি লিখিত আকারে পুলিশ আধিকারিকের কাছে জমা দেন। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা জানিয়েছেন, সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর সরকার সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে আছে। তিনি আশ্বাস দেন যে চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যার সমাধান ভবিষ্যতেও করা হবে।
ভবিষ্যৎ কী?
এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একদিকে যখন সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আশ্বাস দিচ্ছে, অন্যদিকে তখন চাকরিপ্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগের দাবিতে অনড়। উল্লেখ্য, এর আগে ১৯শে আগস্ট কলকাতায় একটি বড় আকারের বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এখন দেখার বিষয়, এই বিক্ষোভের পর সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং কবে এই চাকরিপ্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হয়।