TET Wrong Question Case: প্রশ্নভুল মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন মোড়, চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ তিন সপ্তাহে!

TET Wrong Question Case: প্রাথমিক টেট ২০২২-এর প্রশ্ন ভুল মামলার জল এবার শেষের দিকে গড়াচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এই মামলার নিষ্পত্তির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন, যা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে। এই মামলায় নতুন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আসুন, এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
নতুন বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রয়োজনীয়তা
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল যে, যে প্রশ্নগুলো নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, সেগুলোর নিষ্পত্তির জন্য তৃতীয় কোনও বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া হোক। মামলাকারীদের আইনজীবীরা প্রথমে এর বিরোধিতা করে বলেন যে নতুন করে বিশেষজ্ঞ নিয়োগের কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেন পর্ষদের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন বিশেষজ্ঞ নিয়োগের অনুমতি দেন এবং এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেন।
বিশেষজ্ঞ কমিটিতে কারা থাকছেন?
বিচারপতি প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষজ্ঞ সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অঙ্ক পেডাগজি এবং ইংরেজি পেডাগজির প্রশ্নগুলোতে সত্যিই কোনও ভুল ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পর্ষদের অন্তর্ভুক্তি এবং পরিবর্তন
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রথমে নিজেদের বিশেষজ্ঞদের বাদ দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানায়। বিচারপতি প্রথমে সেই আপত্তি খারিজ করে দিলেও, পরে নিজের আদেশ পরিবর্তন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিশেষজ্ঞদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। মামলাকারীরা এর তীব্র বিরোধিতা করে বলেন যে, পর্ষদের বিশেষজ্ঞরা থাকলে নিরপেক্ষ বিচার হবে না। এই আপত্তির কারণে বিচারপতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
চূড়ান্ত বিশেষজ্ঞ প্যানেল এবং সময়সীমা
শেষ পর্যন্ত যে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়েছে, তাতে থাকছেন:
- যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
- প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়
- প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
বিচারপতি সৌমেন সেন নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের বৈঠক শেষ করতে হবে এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই সংক্ষিপ্ত সময়সীমা থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট প্রশ্ন ভুল মামলার নিষ্পত্তি খুব শীঘ্রই হতে চলেছে এবং চাকরিপ্রার্থীরা দ্রুতই এর ফল জানতে পারবেন। এই রায়ের ফলে রাজ্যের হাজার হাজার টেট পরীক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে এবং তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলে আশা করা যায়।