BLO Duty: শিক্ষকদের বিএলও ডিউটি নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি! হাইকোর্টের রায় স্মরণ করিয়ে কড়া চিঠি রাজ্যের

BLO Duty: সাম্প্রতিক একটি বিজ্ঞপ্তিতে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে একটি কঠোর চিঠি পাঠিয়েছে। এই চিঠিতে, যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার) ডিউটি দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই ডিউটি গ্রহণ করছেন না এবং শোকজ নোটিশেরও উত্তর দিচ্ছেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মনোভাব অত্যন্ত কঠোর এবং অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মূল বিষয়
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এই চিঠিতে বলা হয়েছে যে, ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষকদের বিএলও ডিউটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা এই দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করছেন। এমনকি, তাদের পাঠানো শোকজ নোটিশেরও কোনো জবাব দিচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে, কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের একটি মামলার রায়কেও উল্লেখ করেছে, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিএলও ডিউটি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল।
কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, যাদের বিএলও ডিউটি দেওয়া হয়েছে, তাদের অবশ্যই সেই ডিউটিতে যোগ দিতে হবে। যদি কেউ এই নির্দেশ অমান্য করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে ‘অ্যাপ্রোপ্রিয়েট অ্যাকশন’ বা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে কমিশনের মনোভাব যে কতটা কঠোর, তা চিঠির ভাষা থেকেই স্পষ্ট।
কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ
চিঠির শেষ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এই বিষয়টি ‘মোস্ট আর্জেন্ট’ বা অত্যন্ত জরুরি হিসেবে গণ্য করতে হবে। যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বিএলও ডিউটিতে যোগ দিচ্ছেন না বা শোকজের উত্তর দিচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো, তার একটি রিপোর্ট আগামী ১লা অক্টোবর, ২০২৫-এর মধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে। এর থেকে বোঝা যায়, কমিশন আর কোনো বিলম্ব বা অজুহাত শুনতে রাজি নয় এবং খুব দ্রুত এর সমাধান চায়।
এই নির্দেশিকার ফলে রাজ্যের শিক্ষক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেক শিক্ষক সংগঠনই ভোটের ডিউটির পাশাপাশি বিএলও-র মতো অতিরিক্ত কাজের চাপের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের মতে, এর ফলে স্কুলের পঠন-পাঠনের ক্ষতি হচ্ছে। তবে, নির্বাচন কমিশনের এই কড়া মনোভাবের পর, আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেটাই দেখার।
শিক্ষকদের বিএলও ডিউটি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই কঠোর অবস্থান একদিকে যেমন নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে মসৃণভাবে পরিচালনা করার একটি প্রয়াস, তেমনই অন্যদিকে শিক্ষকদের উপর অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আগামী দিনে এই বিষয়ে রাজ্য সরকার এবং শিক্ষক সংগঠনগুলির মধ্যে কোনো সমঝোতার পথ বেরোয় কিনা, সেদিকেই সকলের নজর থাকবে।