শিক্ষা

Tripura TET Case: সুপ্রিম কোর্টে আজ টেট মামলায় কী হল? শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ কী? দেখুন বিস্তারিত

Tripura TET Case: ত্রিপুরার টেট (TET) সংক্রান্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি আজ সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত হল। স্টেট অফ ত্রিপুরা বনাম সজল দেব নামের এই মামলাটি রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। আজকের শুনানিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে এবং মামলার পরবর্তী গতিপথ নির্দেশ করেছে, যা নিয়ে সকলের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

মামলার মূল প্রেক্ষাপট

এই মামলাটি মূলত সর্বশিক্ষা অভিযান (SSA)-এর অধীনে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে, যারা ২০০১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন নিয়োগ বিধি অনুযায়ী চাকরি পেয়েছিলেন। এই শিক্ষকরা প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছেন।

  • টেট পাশের শর্ত: ২০২১ সালে তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সময়, অন্যান্য শর্তের সাথে টেট (TET) পাশ বাধ্যতামূলক করা হয়।
  • চাকরি বাতিলের উদ্যোগ: যেহেতু এই শিক্ষকরা টেট উত্তীর্ণ ছিলেন না, ত্রিপুরা সরকার তাদের চাকরি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
  • আইনি লড়াই: প্রথমে সিঙ্গেল বেঞ্চ সরকারের পক্ষে রায় দিলেও, ডিভিশন বেঞ্চ শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।
  • সুপ্রিম কোর্টে সরকার: ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ত্রিপুরা সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। সরকারের মূল দাবি, সকল শিক্ষকের জন্যই টেট পাশ বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।

আজকের শুনানির বিস্তারিত আপডেট

মাননীয় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে আজ এই মামলার শুনানি হয়। শুনানির শুরুতেই বিচারপতি একটি মূল বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন, যা মামলার ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

রিভিউ পিটিশনের উপর নির্ভরশীলতা

বিচারপতি জানান যে, এই একই বিষয় সংক্রান্ত একটি মূল “রিভিউ পিটিশন” এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সেই রিভিউ পিটিশনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই মামলার শুনানি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। তার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, যতক্ষণ না রিভিউ পিটিশনের রায় আসছে, ততক্ষণ এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এর ফলে, ডিভিশন বেঞ্চ থেকে স্বস্তি পেলেও শিক্ষকরা আজ সুপ্রিম কোর্ট থেকে সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত হতে পারলেন না।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

শুনানিকালে আইনজীবীরা আদালতকে জানান যে, এই মামলার তিনজন আবেদনকারী ইতিমধ্যেই প্রয়াত হয়েছেন। এই মানবিক দিকটিও আদালতে তুলে ধরা হয়।

মামলার ভবিষ্যৎ কী?

আদালত এই মামলাটির পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ সপ্তাহ পরের দিন ধার্য করেছে।

  • বিচারপতির মতে, এই তিন সপ্তাহের মধ্যে যদি মূল রিভিউ পিটিশনের রায় ঘোষণা হয়ে যায়, তবে এই মামলারও সমাধান হয়ে যাবে।
  • যদি তা না হয়, তবে ৩ সপ্তাহ পর বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ পুনরায় বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, উত্তরপ্রদেশের একটি একই ধরনের মামলা সম্প্রতি খারিজ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। যদিও সেই মামলাটি দেরির কারণে খারিজ হয়েছিল, গুনাগুনের ভিত্তিতে নয়। বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য টেট বাধ্যতামূলক হওয়ার পথেই এগোচ্ছে আইন। এখন দেখার, ৩ সপ্তাহ পর এই শিক্ষকদের ভাগ্যে কী লেখা আছে।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button