UPI Crisis: কেন UPI ছেড়ে নগদে ফিরছেন ব্যবসায়ীরা? ডিজিটাল পেমেন্টের ভবিষ্যৎ সংকটে? জানুন বিস্তারিত

UPI Crisis: বেঙ্গালুরুতে সাম্প্রতিক একটি ঘটনা ডিজিটাল পেমেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবাচ্ছে। শহরের অনেক ছোট ব্যবসায়ী এবং দোকানদার এখন ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট নিতে অস্বীকার করছেন এবং গ্রাহকদের নগদে অর্থ প্রদানের জন্য বলছেন। দোকানের বাইরে “No UPI, Only Cash” লেখা পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিন্তু কেন এই হঠাৎ পরিবর্তন? এর পেছনে রয়েছে জিএসটি (GST) সংক্রান্ত জটিলতা এবং কর বিভাগের পাঠানো নোটিশ।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
২০১৬ সালের ১১ই এপ্রিল ভারতে ইউপিআই চালু হওয়ার পর থেকে এটি ডিজিটাল লেনদেনের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। বর্তমানে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন ইউপিআই-এর মাধ্যমে হয়। এর জনপ্রিয়তা ভিসা-র মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সংস্থাকেও ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু সম্প্রতি কর্নাটকের বাণিজ্যিক কর বিভাগ প্রায় ১৪,০০০ ছোট ব্যবসায়ীকে জিএসটি শো-কজ নোটিশ পাঠিয়েছে। এই নোটিশের পরেই বেঙ্গালুরুতে ব্যবসায়ীরা ইউপিআই ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কেন এই বিরোধিতা?
- জিএসটি নোটিশ: কর বিভাগ ইউপিআই লেনদেনের ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে অনেক ব্যবসায়ীর বার্ষিক টার্নওভার ৪০ লক্ষ টাকা (পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে) বা ২০ লক্ষ টাকা (পরিষেবার ক্ষেত্রে) ছাড়িয়ে গেলেও তারা জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করেননি বা কর জমা দেননি।
- আয়কর বিভাগের নজরদারি: ব্যবসায়ীরা ভয় পাচ্ছেন যে ইউপিআই লেনদেনের মাধ্যমে তাদের আয়ের সঠিক পরিমাণ সরকারের কাছে চলে যাচ্ছে, যার ফলে তাদের উপর করের বোঝা চাপতে পারে।
- পূর্ববর্তী ঘটনা: এর আগেও তামিলনাড়ুর এক ফুচকা বিক্রেতা এবং কর্নাটকের এক বেকারি মালিককে একই রকম নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, যা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
জিএসটি আইন কী বলছে?
জিএসটি আইন ২০১৭ অনুযায়ী, যে সমস্ত ব্যবসায়ীর বার্ষিক টার্নওভার ৪০ লক্ষ টাকার বেশি (পণ্যের ক্ষেত্রে) বা ২০ লক্ষ টাকার বেশি (পরিষেবার ক্ষেত্রে), তাদের জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। এই সীমা অতিক্রম করার পরেও যারা জিএসটি জমা দেন না বা রেজিস্ট্রেশন করেন না, তারা আইনত দায়ী থাকবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও তদন্ত হতে পারে।
ভবিষ্যৎ কী?
এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ কর ফাঁকি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন, আবার কেউ কেউ নগদে ফিরে যাওয়ার অসুবিধার কথা বলছেন। কর্নাটক সরকার একদিকে যেমন কর আদায়ের চাপে রয়েছে, তেমনই তাদের ভোটারদের কথাও ভাবতে হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, এই “স্টপ ইউপিআই” প্রবণতা শুধু বেঙ্গালুরুতেই সীমাবদ্ধ থাকে, নাকি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।