Voter Card Update: ভোটার কার্ড সংশোধনে আধার কি বাধ্যতামূলক? নির্বাচন কমিশনের বড় ঘোষণা, জানুন খুঁটিনাটি
Voter Card Update: নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটার তথ্য সংশোধন বা ‘এসআইআর’ (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া নিয়ে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নতুন নির্দেশিকায় ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের ব্যবহার এবং এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। আসন্ন নির্বাচন এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
ভোটার তথ্য সংশোধনে আধারের ভূমিকা
কমিশনের সদ্য প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এখন থেকে ভোটার কার্ডের যেকোনো ধরণের ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে আধার কার্ডের ব্যবহার কার্যত বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যদি কোনো ভোটার তাঁর মোবাইল নম্বর আপডেট করতে চান বা ছবি পরিবর্তন করতে চান, তবে তাঁকে আধার অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
- ই-সাইন (E-Sign) ও ওটিপি: যেকোনো সংশোধনের আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ‘ই-সাইন’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওটিপি (OTP) যাচাই করে ফর্ম সাবমিট করতে হবে। এটি তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে সাহায্য করবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও নথিপত্র হিসেবে আধার
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় আধার কার্ডকে একটি গ্রহণযোগ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।
- বিকল্প নথি: যদি কোনো নাগরিকের কাছে পরিচয় প্রমাণের জন্য অন্য কোনো বৈধ নথি না থাকে, তবে সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে আধার কার্ড ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যেতে পারে।
- পরিচয় প্রমাণ: তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে, আধার কার্ড শুধুমাত্র ভোটারের ‘পরিচয় জ্ঞাপক’ (Identity Proof) নথি হিসেবেই গণ্য হবে। এটি কোনোভাবেই নাগরিকত্ব বা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হবে না।
গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা এবং তারিখ
নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধন এবং ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে যে ঘোষণা করেছে, তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হন| তারিখ | বিবরণ ও কার্যক্রম |
|---|---|
| ৪ ডিসেম্বর | বিএলও-দের (BLO) ফর্ম কালেকশন এবং জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। |
| ৯ ডিসেম্বর | এসআইআর-এর মূল প্রক্রিয়া শুরু এবং খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ। মৃত ও অযোগ্য ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। |
| ৩১ জানুয়ারি | নতুন ভোটারদের নাম তোলা (ফর্ম ৬) এবং ভুল সংশোধনের (ফর্ম ৮) আবেদনের শেষ দিন। |
ফর্ম জমা নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসন
বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসারদের মধ্যে ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে একটি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। অনেকের ধারণা ছিল ২৫ তারিখের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে:
- ২৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার অনুরোধটি শুধুমাত্র সেইসব ছোট বুথগুলির জন্য ছিল, যেখানে ভোটারের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬০০-র মধ্যে। সার্ভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমানোর জন্যই এই কৌশল নেওয়া হয়েছিল।
- বড় বুথ বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ক্ষেত্রে ফর্ম জমা দেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা ৪ ডিসেম্বর পর্যন্তই বহাল থাকছে।
কাজের অগ্রগতি
কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ জোরকদমে চলছে। এখনো পর্যন্ত জমা পড়া ফর্মের মধ্যে ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৬২৬টি ফর্ম ডিজিটাইজ করে পোর্টালে আপলোড করা সম্ভব হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এটি মোট বিলি হওয়া ফর্মের প্রায় ৭০.১৪ শতাংশ। নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশের লক্ষ্যে কমিশন তৎপরতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।