WB Govt: ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির জন্য নির্দেশিকা (SOP) প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ

WB Govt: পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে, যার নাম ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল স্থানীয় স্তরের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে তার দ্রুত সমাধান করা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, এই প্রকল্পটি রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে এবং তাদের জীবনের মানোন্নয়নে সহায়তা করবে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই উদ্যোগের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ও সময়কাল
‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হল ছোটখাটো স্থানীয় সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গে তার নিষ্পত্তি করা। বড় প্রকল্পগুলির জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকলেও, এই উদ্যোগের মাধ্যমে পাড়ার ছোট ছোট সমস্যাগুলির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
- শুরুর তারিখ: এই কর্মসূচি আগামী ২রা আগস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে।
- সময়কাল: এটি ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। পূজার ছুটির জন্য ১৫ দিনের বিরতি থাকবে।
- ক্যাম্পের সময়: ক্যাম্পগুলি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত পরিচালিত হবে।
বাজেট ও পরিকাঠামো
এই কর্মসূচির জন্য রাজ্য সরকার মোট ৮০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। রাজ্যের ৮০,০০০-এর বেশি প্রতিটি পোলিং বুথের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে, যা স্থানীয় সমস্যা সমাধানের কাজে ব্যবহার করা হবে।
ক্যাম্পের আয়োজন এবং পরিচালনা
ক্যাম্পগুলি ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের মতো একই জায়গায় আয়োজন করা হবে। সাধারণত, প্রতি তিনটি পোলিং বুথের জন্য একটি করে ক্যাম্প করা হবে। তবে, প্রয়োজনে এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হতে পারে।
- দূরবর্তী এলাকা: প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটি বুথের জন্য একটি করে ক্যাম্প হতে পারে।
- শহরাঞ্চল: শহরের ক্ষেত্রে তিনটি বা তার বেশি বুথের জন্য একটি ক্যাম্প হতে পারে।
- ওয়েবসাইট: ক্যাম্পের স্থান এবং তারিখগুলির একটি তালিকা একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
জনগণের অংশগ্রহণ এবং স্বচ্ছতা
এই কর্মসূচিতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পোলিং বুথ থেকে একজন নিরপেক্ষ সাধারণ প্রতিনিধি বেছে নেওয়া হবে, যার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকবে না।
- প্রতিনিধি নির্বাচন: অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা এই প্রতিনিধি হতে পারেন, যাদের ওপর স্থানীয় মানুষের আস্থা রয়েছে।
- দায়িত্ব: এই প্রতিনিধিরা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় সমস্যাগুলি চিহ্নিত করবেন এবং একটি নথিতে স্বাক্ষর করে তা চূড়ান্ত করবেন।
- সরকারি সহায়ক: রাজ্য সরকারের একজন কর্মচারী সহায়ক হিসেবে কাজ করবেন এবং তিনিও ওই নথিতে স্বাক্ষর করবেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে।
এই উদ্যোগটি সফল হলে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ছোটখাটো সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে এবং সরকারের সঙ্গে জনগণের সরাসরি যোগাযোগ আরও মজবুত হবে।