WBSSC: ১৮০৬ অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু, SSC-র তৎপরতায় নতুন মোড়

WBSSC: অবশেষে ১৮০৬ জন অযোগ্য প্রার্থীর নিয়োগপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। গত শনিবার অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের পর থেকেই এই পদক্ষেপের সূচনা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে, স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে একযোগে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন। এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হলো।
ঘটনার প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি
দীর্ঘদিন ধরে চলা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জেরে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এর আগে বহু প্রার্থীর চাকরি বাতিল হয়েছে। সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্ট অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র বাতিল করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই গত শনিবার ১৮০৬ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে SSC। তালিকা প্রকাশের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, কবে থেকে নিয়োগপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করার কথা জানানো হলো।
রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ
রাজ্য সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ভবিষ্যতে যাতে কোনো আইনি জটিলতা তৈরি না হয়, তার জন্য রাজ্য সরকার বর্তমানে আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে। জানা গেছে, আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়ার পরেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই ১৮০৬ জন অযোগ্য প্রার্থীর নিয়োগপত্র বাতিলের নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে।
প্রক্রিয়াগত দিক
নিয়োগপত্র বাতিলের এই প্রক্রিয়া কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে:
- আইনি পরামর্শ: রাজ্য সরকার আইনি দিক খতিয়ে দেখছে যাতে এই বাতিলের প্রক্রিয়াকে ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ করা না যায়।
- নির্দেশিকা জারি: আইনি পরামর্শ পাওয়ার পর স্কুল শিক্ষা দফতর এবং SSC যৌথভাবে একটি নির্দেশিকা জারি করবে।
- বাস্তবায়ন: নির্দেশিকা জারির পর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলিতে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং অযোগ্য প্রার্থীদের কাজে যোগদানে বাধা দেওয়া হবে।
এই পদক্ষেপ রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য ও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। তাঁরা তাকিয়ে আছেন কবে এই দুর্নীতির জাল সম্পূর্ণভাবে ছিন্ন হবে এবং যোগ্যরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার ফিরে পাবেন। SSC-র এই তৎপরতা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী দিনে এই বিষয়ে আরও কী কী নতুন তথ্য সামনে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে গোটা রাজ্য।