Leave Cancellation: পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল অব্যাহত, LTC, HTC নিয়ে আশঙ্কা

Leave Cancellation: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য জারি করা ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা এখনও প্রত্যাহৃত না হওয়ায় কর্মীদের মধ্যে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে। গত ৭ই মে, ২০২৫ তারিখে নবান্নের অর্থ দপ্তর থেকে একটি নির্দেশিকা (নং ১৬৮৪-এফ(পি২)) জারি করে সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীর মঞ্জুর হওয়া ছুটি (চিকিৎসাজনিত ছুটি বাদে) অবিলম্বে বাতিল করা হয়েছিল। সেই সময় ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল এবং কেন্দ্র সরকার তাদের অনুরূপ নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিলেও, রাজ্য সরকার এখনও এই বিষয়ে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেয়নি।
এই ছুটি বাতিলের নির্দেশিকার ফলে বহু সরকারি কর্মী, বিশেষত যাদের সন্তানের স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে, এবং শিক্ষকরা কোনো রকম ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারছেন না। একাধিক কর্মচারী সংগঠন ইতিমধ্যেই নবান্নে অর্থ দপ্তরে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানিয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে সূত্রের খবর।
কর্মীদের মধ্যে আরও একটি বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে লিভ ট্রাভেল কনসেশন (এলটিসি) এবং হোম ট্রাভেল কনসেশন (এইচটিসি)-এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা। বর্তমান এলটিসি/এইচটিসি ব্লক বছরটি ৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে শেষ হতে চলেছে। যদি এই ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা শীঘ্রই প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে বহু কর্মী তাদের প্রাপ্য এলটিসি বা এইচটিসি সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিতে পারবেন না। এর ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
অনেক কর্মীর সন্দেহ, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই এলটিসি এবং এইচটিসি বাবদ প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার জন্য এই ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা জিইয়ে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তাদের মূল দাবি, অবিলম্বে ছুটি বাতিলের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হোক এবং এলটিসি/এইচটিসি সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক, প্রয়োজনে ব্লক বছরের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হোক।
নবান্নের অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পি.কে. মিশ্রার সাক্ষরিত ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, “জনস্বার্থে এবং সরকারি পরিষেবার রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে এই আদেশ জারি করা হচ্ছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।” কর্মীরা এখন সেই “পরবর্তী নির্দেশের” অপেক্ষায়, যা তাদের ছুটির পরিকল্পনা এবং আর্থিক সুবিধা উভয়কেই সুনিশ্চিত করতে পারে।