32000 Teacher Case: শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা! আজ ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি নিয়ে হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানি!

32000 Teacher Case: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আজ ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলার চূড়ান্ত শুনানি হতে চলেছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই ঐতিহাসিক মামলার শুনানি করবেন, যা পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। ২০১৭ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে এই শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল এবং আজ সকলের নজর আদালতের রায়ের দিকে।
মামলার বর্তমান পরিস্থিতি
আজ, ২১শে আগস্ট, ২০২৫-এ এই বহু প্রতীক্ষিত মামলার শুনানি শুরু হবে। কলকাতা হাইকোর্টের ১১ নম্বর কোর্টে আজ দুপুর ২টোর পর এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। মামলাটি ‘অ্যাসাইনমেন্ট ম্যাটারস’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং এর ক্রমিক সংখ্যা ২৫। মূল মামলাটি হল MAT 873 of 2023, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আবেদনকারী এবং প্রিয়াঙ্কা নস্কার রেসপন্ডেন্ট।
শুনানির মূল বিষয়গুলি
এই মামলার সাথে আরও ১০৫টি সংযুক্ত আবেদন (CAN ফাইল) রয়েছে, যা মামলাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই আবেদনগুলির মাধ্যমে প্রভাবিত শিক্ষক এবং নতুন চাকরিপ্রার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আজকের শুনানিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় হবে:
- প্রভাবিত শিক্ষকদের যুক্তি: চাকরি হারানো শিক্ষকদের আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই তাদের সওয়াল শেষ করেছেন। তারা মূলত নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা এবং তাদের নিয়োগের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন।
- বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সওয়াল: আজ থেকে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা, যেমন বিকাশ বাবু, সৌম মজুমদার এবং তরুণ জ্যোতি, তাদের যুক্তি পেশ করবেন। তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরবেন এবং তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করবেন কীভাবে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
- বোর্ডের বক্তব্য: উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য পেশ করবেন এবং বিচারপতিদের যে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
মামলার ভবিষ্যৎ কী?
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির দিকে এগোচ্ছে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের সওয়াল শেষ হতে প্রায় দুই থেকে তিনটি শুনানির দিন লাগতে পারে এবং এরপর বোর্ডের জবাব ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। সব মিলিয়ে, আগামী পাঁচ-ছয়টি শুনানির দিনের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, শুনানির তারিখগুলির মধ্যে ব্যবধান থাকায় পুজোর ছুটির আগে চূড়ান্ত রায় আসার সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে।
আজকের এই শুনানি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় প্রভাব ফেলবে। একদিকে যেমন ৩২,০০০ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে, তেমনই অন্যদিকে হাজার হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থী চাকরির আশায় দিন গুনছেন। এখন দেখার বিষয়, আদালত কোন দিকে রায় দেয় এবং এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান কবে হয়।