চাকরি

32000 Teacher Case: আজ ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক মামলায় দুর্নীতির চরম তথ্য পেশ হল, হাইকোর্টে মামলার সর্বশেষ আপডেট

32000 Teacher Case: কলকাতা হাইকোর্টে ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা এক নতুন মোড় নিয়েছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে, যেখানে মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং চাকরিহারাদের পক্ষে আইনজীবী সাক্ষ্য সেন জোরালো সওয়াল করছেন। এই মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং প্রধান যুক্তিগুলি নিচে তুলে ধরা হলো।

মামলার মূল বিষয়বস্তু

এই মামলার কেন্দ্রে রয়েছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া, যা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মামলাকারীদের প্রধান অভিযোগ হলো, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি এবং অনিয়ম হয়েছে। অন্যদিকে, চাকরিহারাদের পক্ষের আইনজীবীরা এই অভিযোগ খণ্ডন করার চেষ্টা করছেন।

আইনজীবীদের সওয়াল

সাক্ষ্য সেন, চাকরিহারাদের আইনজীবী, শুনানিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন:

  • তিনি বলেন যে ৩২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ প্যানেল এবং ২৬৯ জনের অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। ৩২ হাজার জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে ওই ২৬৯ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়।
  • ২০১৬ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর ৪২,৯৪৯টি পদের জন্য জেলাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগের শর্ত ছিল যে, D.El.Ed যোগ্য প্রার্থী না থাকলে তবেই তাদের নিয়োগ করা হবে এবং ২ বছরের মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে।
  • আইনজীবী সেন আরও বলেন যে, মামলাকারীরা ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি এবং অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ৩৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগের সঙ্গে এই দুর্নীতির কোনো সরাসরি যোগসূত্র নেই।
  • শুনানিতে “Y” প্রার্থী এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়েও আলোচনা হয়। সেন স্পষ্ট করেন যে, “Y” প্রার্থী বিষয়টি রোহন সিংয়ের আবেদনের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। এছাড়াও, মামলাকারীরা অভিযোগ করেছেন যে কোনো অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি, যা নিয়েও আদালতে সওয়াল-জবাব চলে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ

বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী পুরো বিষয়টি মন দিয়ে শোনেন এবং পর্যবেক্ষণ করেন যে, দুর্নীতির অভিযোগ মূলত ২৬৯ জনের নিয়োগকে কেন্দ্র করে, ৩২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নয়। শুনানির সময় বিচারপতি আইনজীবীদের সওয়ালের ধরনের ওপরও মন্তব্য করেন, যা মামলার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

পরবর্তী শুনানি

এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ই আগস্ট, ২০২৫-এ ধার্য করা হয়েছে। ওই দিনই হয়তো এই মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে এবং ৩২ হাজার শিক্ষকের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button