32000 Teacher Case: হাইকোর্টের ৩২,০০০ শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলার অর্ডার কপিতে কী নির্দেশ দিল আদালত?

32000 Teacher Case: কলকাতা হাইকোর্ট ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দিয়েছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে এবং পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২১শে আগস্ট, ২০২৫। এই পোস্টে আমরা মামলার বর্তমান পরিস্থিতি, বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মামলার প্রেক্ষাপট
এই মামলাটি ২০১৭ সালে নিযুক্ত ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সঙ্গে সম্পর্কিত, যাদের ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের ১১ নম্বর কোর্টে শুনানি হয় এবং এর সাথে আরও ১০২টি আবেদন যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো “পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড বনাম প্রিয়াঙ্কা নস্কর”।
আইনজীবীদের যুক্তি
ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকদের পক্ষে একাধিক আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তাদের প্রধান যুক্তিগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
- অনীন্দ্য লাহিড়ী: তিনি ২০১৪ সালের টেট এবং ২০১৭ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আলাদা করার পক্ষে যুক্তি দেন। তার মতে, টেট পরীক্ষার দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, OMR শিটের সমস্যাটি শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেটের সঙ্গে জড়িত, যা ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে না।
- জয়দীপ মজুমদার: তিনি বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কোনো প্রমাণ নেই এবং কিছু সংবাদমাধ্যম অতিরঞ্জিত খবর পরিবেশন করছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, জলপাইগুড়ি জেলার কোনো প্রার্থীকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট বা সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়নি।
- সিদ্ধার্থ ব্যানার্জী: প্যারা-টিচার এবং নতুন শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব করে তিনি বলেন যে, অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং সাক্ষাৎকারে শূন্য পেলেও প্যারা-টিচাররা তাদের ১০% সংরক্ষণের কারণে নিয়োগ পাবেন।
- চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী: তিনি তার মক্কেলদের ৩২,০০০ জনের গ্রুপ থেকে আলাদা করার আবেদন জানান, কারণ তাদের অ্যাকাডেমিক স্কোর ভালো এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও সাক্ষাৎকারে কম নম্বর পেলেও তারা নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য।
পরবর্তী শুনানি এবং ভবিষ্যৎ
মামলার পরবর্তী শুনানি ২১শে আগস্ট, ২০২৫, দুপুর ২টোয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী শুনানিতে ক্ষতিগ্রস্থ চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি উপস্থাপন করবেন। এই শুনানির পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার আসল অনিয়ম এবং সমস্যাগুলো স্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই মামলার রায় পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আমরা এই মামলার উপর নজর রাখব এবং পরবর্তী আপডেট আপনাদের সামনে তুলে ধরব।