West Bengal DA: ডিএ মামলায় নতুন তথ্য! আরটিআই-এর উত্তরে ডিএ নিয়ে চাঞ্চল্য, প্রভাব পড়বে মামলায়?

West Bengal DA: ডিএ মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে এক নতুন মাত্রা যোগ করল সাম্প্রতিক একটি আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন) উত্তর। দুর্গাপুরের বাসিন্দা শ্রী পলাশ দত্তের করা একটি আরটিআই-এর জবাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দপ্তর ডিএ প্রাপক কর্মচারীদের সংখ্যার একটি হিসাব প্রকাশ করেছে, যা ডিএ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা উস্কে দিয়েছে। এই আরটিআই উত্তরটি ২২শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে দেওয়া হয়েছে এবং এটি ডিএ মামলার শুনানিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরটিআই-এর উত্তরে কী তথ্য উঠে এল?
অর্থ দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগে কতজন কর্মচারী মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ পাওয়ার অধিকারী, তার একটি স্পষ্ট চিত্র উঠে এসেছে। এই তথ্য মূলত এইচআরএমএস (হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ডেটার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন বিভাগে কতজন কর্মচারী ডিএ পাওয়ার যোগ্য:
- রাজ্য সরকারি কর্মচারী: ৩,১৪,২২০ জন
- এআইসিটিই (সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদ) বিভাগ: ১,৬৩১ জন
- ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন): ২৬৯ জন
- ওয়েজেস পে-স্কেলের কর্মচারী: ১,৮৮৮ জন
- গ্রান্ট-ইন-এইড (এইচআরএমএস-এর অধীনে): ২০,১২৩ জন
এই সমস্ত বিভাগ মিলিয়ে মোট ৩,৪০,১৩১ জন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ডিএ পাওয়ার অধিকারী বলে জানানো হয়েছে। এই পরিসংখ্যানটি ডিএ মামলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে, কারণ এর মাধ্যমে সরকার পক্ষ আদালতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার উল্লেখ করতে পারবে।
কারা এই হিসাবের বাইরে?
তবে, এই আরটিআই উত্তরে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরে না। কারণ বেশ কিছু ক্ষেত্রের কর্মচারী এবং পেনশন প্রাপকদের এই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আরটিআই উত্তরে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা এই হিসাবের বাইরে রয়েছেন:
- রাজ্য সরকারের পেনশনভোগী এবং পারিবারিক পেনশনভোগীরা।
- সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের কর্মচারী এবং অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা, যারা আইএফএমএস-এর এইচআরএমএস মডিউলের আওতায় পড়েন না।
- সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের তথ্যও এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত নয়।
এই অনুপস্থিতি ডিএ মামলার জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, কারণ মোট ডিএ প্রাপকের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিএ মামলার ভবিষ্যৎ কী?
এই আরটিআই উত্তরটি ডিএ মামলায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করলেও, এর চূড়ান্ত প্রভাব কী হবে তা এখনই বলা মুশকিল। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন এবং পরবর্তী শুনানিতে এই তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হবে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে, এই তথ্য প্রকাশের ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। তাদের আশা, এই তথ্যের ভিত্তিতে আদালত একটি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে এবং তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। আগামী দিনে ডিএ মামলার শুনানি কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগী।