উৎসশ্রী পোর্টালে শিক্ষকদের প্রোফাইলে মারাত্মক ভুল! চিন্তায় শিক্ষক মহল | West Bengal Teachers

West Bengal Teachers: উৎসশ্রী পোর্টালে শিক্ষকদের প্রোফাইল নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, পোর্টালে তাঁদের ‘অ্যাকাডেমিক সেকশন’ ভুল দেখানো হচ্ছে, যা নিয়ে তীব্র আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত, ‘নর্মাল সেকশন’-এর শিক্ষকদের প্রোফাইলে ‘নর্মাল/আপার প্রাইমারি/সেকেন্ডারি’ দেখানো হচ্ছে, যা তাঁদের নিয়োগের শর্তাবলীর পরিপন্থী। এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
মূল ঘটনা
সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের উৎসশ্রী পোর্টালে শিক্ষকদের প্রোফাইল আপডেট করা হয়েছে। এরপরেই একাধিক শিক্ষকের নজরে আসে যে, তাঁদের ‘অ্যাকাডেমিক সেকশন’ ভুলভাবে দেখানো হচ্ছে। যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ‘নর্মাল সেকশন’-এ নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের প্রোফাইলেও এখন ‘আপার প্রাইমারি’ বা ‘সেকেন্ডারি’ সেকশন যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ফিজিক্যাল এডুকেশন বা ওয়ার্ক এডুকেশন-এর মতো বিষয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও, যাঁদের সেকেন্ডারি লেভেলে পড়ানোর কথাই নয়, তাঁদের প্রোফাইলেও ‘সেকেন্ডারি’ সেকশন যোগ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষকদের মতে, এই ধরনের ভুল তাঁদের কেরিয়ারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত বদলি বা পদোন্নতির ক্ষেত্রে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের টেট বাধ্যতামূলক রায়ের ক্ষেত্রেও ভুল তথ্য জমা হওয়ার ভয় করছেন অনেকে।
আইনি পদক্ষেপ ও সংগঠনের ভূমিকা
এই সমস্যার সমাধানে ইতিমধ্যেই ‘অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যেখানে আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে ‘নর্মাল সেকশন’-এ নিযুক্ত শিক্ষকদের সেই সেকশনেই রাখতে হবে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনশিক্ষক সংগঠনগুলি এই বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং তারা সম্মিলিতভাবে এই সমস্যার সমাধানের জন্য আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শিক্ষকদের মতে, প্রতিটি শিক্ষকের প্রোফাইলে তাঁর সঠিক নিয়োগের ক্যাটাগরি উল্লেখ থাকা আবশ্যক।
শিক্ষকদের প্রতি আবেদন
এই পরিস্থিতিতে, সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে তাঁদের উৎসশ্রী পোর্টালের প্রোফাইল খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। যদি কোনো ভুল-ত্রুটি নজরে আসে, তবে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার এবং নিজেদের শিক্ষক সংগঠনের মাধ্যমে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষকদের একতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই মুহূর্তে প্রয়োজন একটি সামগ্রিক এবং সর্বাত্মক আন্দোলন, যাতে প্রতিটি শিক্ষক তাঁর ন্যায্য অধিকার ফিরে পান এবং তাঁদের প্রোফাইলে সঠিক তথ্য প্রতিফলিত হয়।