Income Tax Rules: আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে কত টাকা রাখলে বিপদ? আয়কর বিভাগের নতুন নিয়ম জানুন

Income Tax Rules: আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা জমা করার সীমা সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। ইনকাম ট্যাক্স আইন অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা জমা করলে আপনাকে ইনকাম ট্যাক্স বিভাগের থেকে নোটিশ পেতে হতে পারে। আসুন, এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
নগদ টাকা জমার সীমা
ইনকাম ট্যাক্স আইন অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি যদি একটি আর্থিক বছরে (১লা এপ্রিল থেকে ৩১শে মার্চ) তার সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদ জমা করেন, তাহলে সেই তথ্য ব্যাঙ্ক ইনকাম ট্যাক্স বিভাগকে জানাতে বাধ্য। এই নিয়মটি কর ফাঁকি এবং বেআইনি কার্যকলাপ রোধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
শুধু সেভিংস অ্যাকাউন্টই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম রয়েছে:
- কারেন্ট অ্যাকাউন্ট: ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবহৃত কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এই সীমা বছরে ৫০ লক্ষ টাকা।
- ফিক্সড ডিপোজিট (FD): একটি আর্থিক বছরে নগদে ১০ লক্ষ টাকার বেশি ফিক্সড ডিপোজিট করলেও তা ইনকাম ট্যাক্স বিভাগের নজরে আসবে।
- দৈনিক জমার সীমা: একদিনে ৫০,০০০ টাকার বেশি নগদ জমা করার জন্য প্যান কার্ড (PAN Card) দেওয়া বাধ্যতামূলক।
কখন ইনকাম ট্যাক্স নোটিশ আসতে পারে?
যদি আপনার অ্যাকাউন্টে জমা করা অর্থের পরিমাণ নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে, ব্যাঙ্ক এই তথ্য ‘স্টেটমেন্ট অফ ফিনান্সিয়াল ট্রানজ্যাকশনস’ (SFT)-এর মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্স বিভাগকে জানায়। এরপর, ইনকাম ট্যাক্স বিভাগ আপনার জমা করা অর্থের উৎস জানতে চেয়ে আপনাকে নোটিশ পাঠাতে পারে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনসাধারণত, ইনকাম ট্যাক্স আইনের ধারা ৬৮ (Section 68)-এর অধীনে এই নোটিশ পাঠানো হয়। যদি আপনি আপনার টাকার উৎসের সঠিক প্রমাণ দিতে না পারেন বা আপনার দেওয়া তথ্যে কোনো গরমিল পাওয়া যায়, তাহলে বড়সড় জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে।
জরিমানা ও কর
যদি ইনকাম ট্যাক্স বিভাগ আপনার দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট না হয়, তবে আপনার জমা করা পুরো অর্থকে ‘অঘোষিত আয়’ (Undisclosed Income) হিসেবে গণ্য করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে, আপনাকে উচ্চ হারে কর প্রদান করতে হবে, যা ৬০% পর্যন্ত হতে পারে। এর সাথে যুক্ত হবে ২৫% সারচার্জ এবং ৪% সেস, যা মোট করের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- সঠিক তথ্য দিন: সব সময় আপনার আয়ের সঠিক তথ্য ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নে (ITR) দাখিল করুন।
- ডিজিটাল লেনদেন: যথাসম্ভব ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন করার চেষ্টা করুন। এতে প্রতিটি লেনদেনের রেকর্ড থাকে এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
- প্যান কার্ড: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে প্যান কার্ড লিঙ্ক করা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- রেকর্ড রাখুন: বড় অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে, অর্থের উৎসের সঠিক প্রমাণপত্র নিজের কাছে গুছিয়ে রাখুন।
সঠিক নিয়ম মেনে চললে এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখলে আপনি ইনকাম ট্যাক্স সংক্রান্ত যে কোনো জটিলতা সহজেই এড়াতে পারবেন।