চাকরি

Primary Teacher Recruitment: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বিরাট পরিবর্তন! ১৩৪২১ পদে স্বচ্ছতা আনতে ইন্টারভিউ হবে আরো কড়া পদ্ধতিতে

Primary Teacher Recruitment: পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে একগুচ্ছ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যে স্কুলে স্কুলে প্রায় ১৩ হাজার ৪২১টি প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে এই নতুন নিয়মাবলী কার্যকর করা হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত এবং স্বচ্ছ রাখতেই পর্ষদ এই কঠোর পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। এই নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পর্ষদ সূত্রে খবর, এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরিচালনা করা হবে। অতীতে নিয়োগ নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ এবং নথি যাচাই, সবক্ষেত্রেই থাকছে কড়া নজরদারি।

স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ভিডিওগ্রাফি

এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো সম্পূর্ণ ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি। প্রত্যেক প্রার্থীর ইন্টারভিউ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যামেরাবন্দী করে রাখা হবে। এর ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি পর্ষদের কাছে রেকর্ডেড থাকবে এবং পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখার সুযোগ থাকবে। এই পদক্ষেপ স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক বলে মনে করা হচ্ছে।

নম্বর প্রদানে গোপনীয়তা এবং নতুন নিয়ম

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে বড় পরিবর্তন।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন
  • বিশেষজ্ঞদের পরিচয় গোপন: যারা ইন্টারভিউ নেবেন, সেই বিশেষজ্ঞরা একে অপরের দেওয়া নম্বর সম্পর্কে অবগত থাকবেন না। প্রত্যেকে নিজের মূল্যায়ন অনুযায়ী নম্বর দেবেন।
  • অনলাইন নম্বর জমা: বিশেষজ্ঞরা ইন্টারভিউ নেওয়ার পর অনলাইনেই সরাসরি পর্ষদের সার্ভারে নম্বর পাঠিয়ে দেবেন। এর ফলে নম্বর বদলানো বা কোনো ধরনের কারচুপি করার সুযোগ থাকবে না।
  • কেন্দ্রীয় সার্ভার: সমস্ত নম্বর পর্ষদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে জমা হবে, যা অত্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে।

কড়া নথি যাচাই প্রক্রিয়া

জাল সার্টিফিকেট বা ভুয়ো নথি জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার প্রবণতা রুখতে এবার তিন দফা যাচাই প্রক্রিয়ার (Three-step verification process) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থী যাতে কোনোভাবেই ভুল বা জাল নথি জমা দিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা। প্রতিটি সার্টিফিকেট এবং নথি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হবে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীভূত ইন্টারভিউ ও ভেরিফিকেশন

আগে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদগুলির (DPSC) দপ্তরে ইন্টারভিউ এবং ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতো। কিন্তু এবার সেই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ এবং স্বচ্ছতা আনতে সমস্ত প্রার্থীর ইন্টারভিউ এবং নথি যাচাই প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কলকাতাস্থিত অফিসেই সম্পন্ন হবে। এর ফলে গোটা রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া একটিমাত্র স্থান থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে, যা সমন্বয় ও নজরদারিতে সুবিধা করবে।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button