DA Case Verdict: ডিএ মামলার রায় কি জানুয়ারিতেই? সুপ্রিম কোর্ট খোলার আগেই বড় ইঙ্গিত দিলেন কর্মচারী নেতৃত্ব
DA Case Verdict: ২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে, আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অপেক্ষার পারদ। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের শেষ কোথায়? সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই এখন চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তরা। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি চলছে, কিন্তু নতুন বছর পড়লেই কি মিলবে কাঙ্ক্ষিত রায়? এই আবহেই ডিএ মামলার রায়দান নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
জানুয়ারিতেই কি মিলবে সুখবর?
বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে শীতকালীন অবকাশ চলছে। আগামী ৫ জানুয়ারি আদালত পুনরায় খোলার কথা। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, আদালত খোলার পরই কি ডিএ মামলার রায় ঘোষণা হবে? এই বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে মলয় মুখোপাধ্যায় আশাপ্রকাশ করেছেন যে, নতুন বছরের শুরুতেই এই মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে।
তিনি জানান, “জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যখন সুপ্রিম কোর্ট খুলবে, সেই সপ্তাহে রায় আসতে পারে অথবা তার পরবর্তীতেও দেওয়া হতে পারে। আমাদের অনুমান, রায় হয়তো এখনও সম্পূর্ণভাবে লেখা হয়নি। এই শীতকালীন ছুটির মধ্যেই রায় লেখার কাজ সম্পন্ন হতে পারে। তাই জানুয়ারি মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে রায় প্রকাশ পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।”
রায়দান নিয়ে ধোঁয়াশা ও আইনি প্রক্রিয়া
রায় ঠিক কবে ঘোষণা হবে, তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন। মলয়বাবু পরিষ্কার জানান যে, সুপ্রিম কোর্ট ঠিক কোন দিন রায় দেবে, তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। তবে নিয়ম অনুযায়ী, রায় ঘোষণার মাত্র এক থেকে দু’দিন আগে মামলাকারীরা বিষয়টি জানতে পারবেন।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনতিনি আরও বলেন, “কর্মচারী সমাজ দেখেছে আমরা কীভাবে আইনি লড়াই লড়েছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত ডিএ মামলার রায় বেরোয়।” কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের এই মন্তব্যে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন সরকারি কর্মীরা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও নেতাদের বিস্ময়
দীর্ঘ টালবাহানার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছিল। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চে এই শুনানি সম্পন্ন হয় এবং রায়দান রিজার্ভ রাখা হয়। তারপর তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এখনও রায় ঘোষণা হয়নি।
এই বিলম্ব নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ‘কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ’-এর আরেক শীর্ষ নেতা শ্যামল মিত্র। তিনি বলেন, “শীর্ষ আদালতের তরফে যে দ্রুততার সঙ্গে শুনানি করা হয়েছিল এবং যেভাবে বিচারপতিরা একের পর এক প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারের মনোভাবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন, তারপর এতদিন কেন রায়দান হল না, তা নিয়ে আমরা সত্যিই বিস্মিত।” তিনি আরও যোগ করেন, “আসলে আমরা সবাই আদালতের নির্দেশের জন্যই অপেক্ষা করছি।”
মামলার বর্তমান স্থিতি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। গত সেপ্টেম্বর মাসে শুনানি শেষ হওয়ার পর থেকেই রায়দান স্থগিত (Reserved) রয়েছে। এই বিশেষ বেঞ্চই মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে। এখন দেখার বিষয়, আগামী জানুয়ারিতে আদালত খোলার পর কর্মচারী মহলের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে কি না। রাজ্য সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে পেনশনার—সকলের নজর এখন নতুন বছরের ক্যালেন্ডার ও সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্টের দিকে।