Primary Teacher Recruitment: ২০২২ প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে আবার মামলা! কলকাতা হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা
Primary Teacher Recruitment: ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া যেন বিতর্ক এবং আইনি লড়াইয়ের এক অন্তহীন অধ্যায়। আবারও এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ন্যাশনাল স্কুলিং অফ ওপেন স্কুলিং (NIOS) থেকে ডি.এল.এড উত্তীর্ণ ৫০০-র বেশি প্রার্থী এই নতুন মামলা দায়ের করেছেন, যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছে। তাঁদের মূল অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে তাঁদের অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট ও মূল অভিযোগ:
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রায় ১১,৭৬৫ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। সেই অনুযায়ী, টেট উত্তীর্ণ এবং ডি.এল.এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু বিতর্কের সূত্রপাত হয় পর্ষদের একটি সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে। এই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়, শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের মামলাকারীরাই নথি যাচাই প্রক্রিয়ায় (ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন) অংশগ্রহণ করতে পারবেন, যা আগামী ৯ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা।
কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় NIOS প্রার্থীদের আইনজীবী সওয়াল করেন যে, পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশের সরাসরি লঙ্ঘন। তাঁদের যুক্তি, শীর্ষ আদালত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং থেকে ডি.এল.এড সম্পন্ন করা প্রার্থীদের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচনা করেছিল। তা সত্ত্বেও, পর্ষদের এই নতুন পদক্ষেপ তাঁদের বঞ্চিত করছে।
আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রধান দাবি, ওপেন স্কুলিং থেকে উত্তীর্ণ সকল যোগ্য প্রার্থীকে যেন অবিলম্বে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাঁদের নথি যাচাইয়ের জন্য ডাকা হয়। তাঁদের মতে, পর্ষদের এই একপেশে সিদ্ধান্ত বহু যোগ্য প্রার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনআদালতের পরবর্তী পদক্ষেপ:
এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি শীঘ্রই কলকাতা হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। আদালতের রায়ের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। এই নতুন মামলা ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে আরও একটি জটিলতা এবং অনিশ্চয়তা যোগ করল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সকলের আশা, আদালত একটি নিরপেক্ষ এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাবে।
এই পরিস্থিতি আবারও একবার রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চনা এবং ক্রমাগত আইনি লড়াই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার ভবিষ্যতের জন্য কখনোই সুখকর নয়। এখন দেখার, এই আইনি লড়াই কোন দিকে মোড় নেয় এবং চাকরিপ্রার্থীরা কবে তাঁদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পান।