Arrear DA: ২৫% বকেয়া মেটানোর পথে রাজ্য! অর্থ দফতরের তৎপরতা, নবান্নের চিঠি ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা

Arrear DA: রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) নিয়ে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। অর্থ দফতর থেকে রাজ্যের সমস্ত দফতরের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ডিএ প্রাপকদের সঠিক সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য।
অর্থ দফতরের তরফে প্রতিটি দফতরের কাছে বর্তমান কর্মরত ডিএ প্রাপক এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে কারা ডিএ পান, সেই সংখ্যা পৃথকভাবে বিশদভাবে জানাতে বলা হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই বকেয়া ডিএ মেটানোর চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারি সূত্রে খবর, বিভিন্ন দফতর মিলিয়ে রাজ্যে প্রায় আড়াই লক্ষেরও বেশি কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়াও, প্রায় তিন লক্ষ আশি হাজার স্কুল শিক্ষক এবং পঞ্চায়েত, পুরসভা, পুরনিগম ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্বশাসিত সংস্থাগুলিতে আরও প্রায় এক লক্ষ কর্মী কর্মরত। সব মিলিয়ে প্রায় আট লক্ষ কর্মী এই বকেয়া ডিএ-র আওতায় আসতে পারেন। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের যুক্ত করলে এই সংখ্যা দশ লক্ষ ছুঁতে পারে।
তবে, ২০১৯ সালের পরে চাকরিতে যোগ দেওয়া কর্মীরা এই ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ পাবেন না। ২০০৯ সাল বা তার আগে থেকে কর্মরতরা এই ১০ বছরের বকেয়ার সুবিধা পাবেন। পরবর্তীকালে নিযুক্ত কর্মীরাও তাঁদের নিজ নিজ সময়কালের ভিত্তিতে ডিএ পাবেন। আদালতের নির্দেশে চাকরি হারানো শিক্ষকরা এই ডিএ পাবেন না।
রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে কর্মীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনগুলিও দ্রুত এই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনও আশাবাদী যে কর্মীরা দ্রুতই এই টাকা হাতে পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- অর্থ দফতর সকল দফতরের কাছে ডিএ প্রাপকদের সংখ্যা জানতে চেয়েছে।
- হাইকোর্টের নির্দেশে বকেয়া ডিএ-র ২৫% মেটানোর প্রস্তুতি চলছে।
- কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত মিলিয়ে প্রায় দশ লক্ষ কর্মী উপকৃত হতে পারেন।
- ২০১৯ সালের পরে যোগদানকারী ও চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা এই সুবিধা পাবেন না।
এই তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ হলে রাজ্য সরকার ডিএ প্রদান সংক্রান্ত পরবর্তী ঘোষণা করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্তদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর।