SLST Rules Challenge: কলকাতা হাইকোর্টে SLST 2025 নিয়ম চ্যালেঞ্জ মামলা খারিজ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন মোড়

SLST Rules Challenge: কলকাতা হাইকোর্ট SLST 2025-এর নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে, যার ফলে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চ এই রায় দেয়, যা রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়ে চলমান বিতর্কের উপর আলোকপাত করে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা মামলার মূল বিষয়গুলো, উভয় পক্ষের যুক্তি এবং এই রায়ের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।
মামলার প্রেক্ষাপট
এই মামলাটি মূলত SLST 2025-এর নতুন নিয়মাবলীর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হয়েছিল। আবেদনকারী অভিজিৎ সাধুখাঁর পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে এই নতুন নিয়মগুলি পূর্ববর্তী নিয়োগ পদ্ধতির থেকে আলাদা এবং রাজ্যের যোগ্য শিক্ষকদের স্বার্থের পরিপন্থী। আবেদনকারীদের মূল উদ্বেগ ছিল যে নতুন নিয়মগুলি ২০১৬ সালের নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে নতুন প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিচ্ছে, যা বিদ্যমান শিক্ষকদের বঞ্চিত করতে পারে।
আদালতে প্রধান যুক্তি
মামলার শুনানির সময় উভয় পক্ষই নিজ নিজ যুক্তি তুলে ধরে। আসুন সেই যুক্তিগুলো বিস্তারিতভাবে দেখে নেওয়া যাক:
- আবেদনকারীর যুক্তি: আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন যে পূর্ববর্তী মামলাটি নিয়মের একটি নির্দিষ্ট অংশের উপর আলোকপাত করেছিল, কিন্তু এই নতুন মামলাটি সম্পূর্ণ SLST 2025 নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করছে। তাদের মতে, নতুন নিয়মগুলি রাজ্যের হাজার হাজার অভিজ্ঞ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।
- স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) পাল্টা যুক্তি: SSC-এর পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জী বলেন যে একই আবেদনকারী একই বিষয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে একই বিষয়ে দুটি ভিন্ন আদালতে সমান্তরালভাবে মামলা চলতে পারে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে নতুন নিয়মে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের চাকরি রক্ষার জন্য ১০ নম্বর অতিরিক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ ও রায়
বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর বলেন যে একজন প্রার্থী একই বিষয়ে দুটি ভিন্ন আদালতে মামলা করতে পারেন না, বিশেষ করে যখন সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে একটি আদেশ জারি করেছে। তিনি অরুণিমা পাল বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং বিবেক পারিয়ার মামলার মতো পূর্ববর্তী রায়ের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে একই ধরনের SLST-সম্পর্কিত বিষয়গুলি বিভিন্ন আদালতের স্তর পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল।
এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে, আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। আদালতের মতে, একই বিষয়ে সমান্তরাল মামলা আইনত গ্রহণযোগ্য নয়।
এই রায়ের প্রভাব
এই রায়ের ফলে SLST 2025 পরীক্ষা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাবে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া আবার শুরু হওয়ার পথে এক ধাপ এগোল। তবে, এই রায় নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একাংশ যেখানে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে এবং দ্রুত নিয়োগের আশা করছে, সেখানে অন্য অংশ এখনও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন কীভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং মসৃণভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়।