ডিএ

DA Case: কোন রহস্যে সুপ্রিম কোর্টে ১৭ বার পিছিয়ে যায় ডিএ মামলা, কি বললেন আইনজীবী দেখুন

DA Case: কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি মামলার বর্তমান পরিস্থিতি, রাজ্য সরকারের ভূমিকা এবং কর্মচারীদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

মামলার প্রেক্ষাপট ও আইনি লড়াই:

ফিরদৌস সামিম জানান যে, রাজ্য সরকারকে তার কর্মচারীদের নিখিল ভারত উপভোক্তা মূল্য সূচকের ভিত্তিতে ডিএ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা রোপা রুল ২০০৯ অনুসারে প্রযোজ্য। একাধিকবার আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্য সরকার তা মানেনি, যার ফলে কর্মচারীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কনফেডারেশন এই মামলা দায়ের করে। প্রাথমিকভাবে একটি আদালতে মামলা হারলেও পরবর্তীকালে হাইকোর্টে তাঁরা জয়লাভ করেন। রাজ্য সরকারের পরবর্তীকালের রিভিউ এবং আপিলগুলি বারবার খারিজ হয়েছে। সামিম আদালতে বারবার রাজ্য সরকারের পরাজয়ের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।

আর্থিক প্রভাব ও রাজ্য সরকারের অবস্থান:

রাজ্য সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ডিএ প্রদান করতে গেলে আনুমানিক ৪০,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে । ফিরদৌস সামিমের যুক্তি, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে যদি রাজ্য সরকার নিয়মিত ডিএ দিত, তাহলে এই আর্থিক বোঝা এতটা বিপুল হত না। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বিষয়টি আরও বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তার বিরোধিতা করা হয়। সামিম উল্লেখ করেন যে, রাজ্য সরকার একটি স্থগিতাদেশের সুবিধা নিচ্ছে, অথচ কর্মচারীদের ন্যায্য ডিএ থেকে বঞ্চিত করছে।

ডিএ গণনা পদ্ধতি:

সামিম ব্যাখ্যা করেন যে, রোপা রুল ২০০৯-এ উল্লিখিত একটি নির্দিষ্ট সূত্র অনুসরণ করে নিখিল ভারত উপভোক্তা মূল্য সূচকের ভিত্তিতে ডিএ গণনা করা উচিত। এমনকি তিনি এই গণনার পদ্ধতি দেখানোর প্রস্তাবও দেন।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ:

বর্তমানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বলবৎ রয়েছে। তবে, যদি সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আপিল খারিজ করে দেয়, তাহলে কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে যাতে কর্মচারীরা তাঁদের প্রাপ্য ডিএ পান। পরবর্তী শুনানি ১৪ই মে দুপুর ২টোয় ধার্য করা হয়েছে।

বিলম্ব ও বাধা:

সামিম রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলায় বারবার বিলম্ব চাওয়ার সমালোচনা করেন, প্রায় ১৬-১৭ বার এই ধরনের (স্থগিতাদেশ) নেওয়া হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আদালত এই বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করবে।

রোপা রুলসের প্রাসঙ্গিকতা:

ফিরদৌস সামিম স্পষ্ট করেন যে, এই মামলাটি রোপা রুলস ২০০৯-এর উপর ভিত্তি করে চলছে, যা নিখিল ভারত উপভোক্তা মূল্য সূচকের ভিত্তিতে ডিএ প্রদান বাধ্যতামূলক করে। অন্যদিকে, রোপা ২০১৯-এ ডিএ সংক্রান্ত কোনও বিধান সরকার রাখেনি।

জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী:

রাজ্য সরকারের অনিচ্ছা সত্ত্বেও, ফিরদৌস সামিম আত্মবিশ্বাসী যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং কর্মচারীরা তাঁদের ন্যায্য ডিএ পাবেন।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button