Dearness Allowance

DA Case: শুনানি পিছিয়ে যাওয়া কি সত্যিই সরকারি কর্মচারীদের জন্য শাপে বর? জানুন ভেতরের অঙ্ক

DA Case: সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতার (DA) মামলার শুনানি আরও একবার পিছিয়ে যাওয়ায় বহু রাজ্য সরকারি কর্মচারী হতাশ হয়েছেন। কিন্তু কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের মতে, এই বিলম্ব আপাতদৃষ্টিতে খারাপ মনে হলেও, এর পেছনে এমন কিছু অঙ্ক রয়েছে যা কর্মচারীদের জন্য ‘শাপে বর’ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু কীভাবে? আসুন, সেই ব্যাখ্যাটিই বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

মূল প্রশ্ন: শুনানি পেছানো কীভাবে ভালো হতে পারে?

প্রথমেই মনে রাখা দরকার, শীর্ষ আদালতে মামলা লড়ার খরচ বিপুল। রাজ্য সরকার যেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেশের সেরা আইনজীবীদের নিয়োগ করছে, সেখানে সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের বেতনের টাকা থেকেই চাঁদা তুলে এই আইনি লড়াই চালাচ্ছেন। মলয় মুখোপাধ্যায়ের মতে, শুনানি দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় মামলাকারীরা এই বিপুল খরচ জোগাড় করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছুটা সময় পেয়ে গেলেন। এটিই এই বিলম্বের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক।

আর্থিক প্রস্তুতির অঙ্ক

এই আইনি লড়াইটি কেবল ন্যায়বিচারের নয়, আর্থিক সক্ষমতারও বটে। প্রতি শুনানির জন্য আইনজীবীদের ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বিপুল। মলয় মুখোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই অপ্রত্যাশিত অতিরিক্ত সময়টুকু কর্মচারীদের সংগঠনগুলিকে সাহায্য করবে নিজেদের আর্থিক ভান্ডার আরও কিছুটা গুছিয়ে নিতে।

  • তহবিল সংগ্রহের সময়: কর্মচারীরা মামলার খরচ চালানোর জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য আরও দুই সপ্তাহ সময় পেলেন।
  • আর্থিক চাপ হ্রাস: হঠাৎ করে বড় অঙ্কের টাকা জোগাড় করার যে মানসিক এবং আর্থিক চাপ ছিল, তা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
  • লড়াই চালিয়ে যাওয়ার রসদ: এই অর্থই আগামী দিনে লড়াইটা পূর্ণশক্তিতে চালিয়ে যাওয়ার রসদ জোগাবে।

কৌশলগত প্রস্তুতির সুযোগ

শুধু আর্থিক দিক থেকেই নয়, কৌশলগত দিক থেকেও এই সময়টা মূল্যবান। রাজ্য সরকার বারবার মামলা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে, কর্মচারী পক্ষ নিজেদের আইনি কৌশল আরও ভালোভাবে গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রতিপক্ষের প্রতিটি পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করার জন্য এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মনে রাখা জরুরি

যদিও শুনানি পিছিয়েছে, মূল ঘটনাগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে।

  • স্থগিতের কারণ: রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বালের অন্য মামলায় ব্যস্ততার কারণে শুনানি স্থগিত হয়েছে।
  • পরবর্তী তারিখ: মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৬শে আগস্ট, ২০২৫। বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারোল এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চেই শুনানি হবে।

সুতরাং, আপাত হতাশার মধ্যেও এই বিলম্ব সরকারি কর্মচারীদের আইনি ও আর্থিক প্রস্তুতিকে আরও মজবুত করার একটি অপ্রত্যাশিত সুযোগ এনে দিয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী লড়াইয়ে তাদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।

WBPAY

The site wbpay.in is a collaborative platform voluntarily monitored by a dedicated group of reporters of West Bengal. The site features insightful posts and articles authored by experts in various fields, ensuring high-quality content that informs and engages the community. With a focus on transparency and public service, wbpay.in aims to provide valuable resources and updated news relevant to the citizens and employees of West Bengal. For any query please mail us at [email protected]

Related Articles

Back to top button