DA Case News: ‘বকেয়া ডিএ-র কিছু তো দিন’- ডিএ মামলায় রাজ্যকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

DA Case News: সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক শুনানি এক নতুন মোড় নিয়েছে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ এবং রাজ্য সরকারের যুক্তি-পাল্টা যুক্তির মধ্যে দিয়ে মামলাটি এখন চূড়ান্ত রায়ের দিকে এগোচ্ছে। এই শুনানিতে বিচারপতিরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন, যা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। আসুন, এই মামলার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বিচারপতির গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ
শুনানির শুরুতেই মাননীয় বিচারপতিরা রাজ্য সরকারকে ডিএ-র কিছু অংশ মিটিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। বিচারপতিদের মতে, রাজ্যের বাইরে কর্মরত কর্মচারীরা ডিএ পেলেও রাজ্যের ভেতরের কর্মচারীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। এই বৈষম্য দূর করার জন্য বিচারপতিরা সরকারকে বলেন, “আপনারা কিছু করুন” (“Please do it”)। এই মন্তব্যের মাধ্যমে বিচারপতিরা ডিএ মেটানোর ব্যাপারে তাদের সদিচ্ছা প্রকাশ করেন।
অবিলম্বে পদক্ষেপের আর্জি
মামলার রায় যা-ই হোক না কেন, বিচারপতিরা মৌখিকভাবে রাজ্য সরকারকে কিছু পরিমাণ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কোনো নির্দিষ্ট শতাংশ (যেমন ২৫%) উল্লেখ না করে, বিচারপতিরা বলেন, “যেকোনো পরিমাণ দিন” (“give any amount”)। এই মৌখিক নির্দেশনার মাধ্যমে বিচারপতিরা বুঝিয়ে দেন যে, কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি।
রাজ্য সরকারের যুক্তি
অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা ২০০৯ সালের ROPA রুলসের উল্লেখ করে বলেন যে, সর্বভারতীয় উপভোক্তা মূল্য সূচক (AICPI) এবং রাজ্যের নতুন ডিএ নিয়মের মধ্যে সমতা আনা হয়েছে। তাদের মতে, ডিএ কোনো নৈতিক অধিকার নয়, বরং এটি রাজ্যের বিবেচনার উপর নির্ভরশীল। রাজ্য সরকার তাদের আর্থিক পরিস্থিতি এবং নিয়মকানুনের ভিত্তিতেই ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায়।
গরমিল নিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন
বিচারপতিরা AICPI এবং রাজ্য সরকারের নতুন ডিএ নিয়মের মধ্যেকার পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্য সরকার কীভাবে AICPI-এর বাইরে গিয়ে নিজেদের মতো করে ডিএ-র নিয়ম তৈরি করছে, তা নিয়ে বিচারপতিরা তাদের সংশয় প্রকাশ করেন। শুনানির সময় এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, হাইকোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালের রায় আইনি যুক্তির উপর ভিত্তি করেই দেওয়া হয়েছিল।
মামলার ভবিষ্যৎ এবং চূড়ান্ত রায়
রাজ্য সরকারের যুক্তি পেশের পর মামলাটি পরবর্তী শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা সম্ভবত আগামীকাল বা পরশুর মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ তাদের বিস্তারিত যুক্তি পেশ করবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই দিনের মধ্যেই এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে, যা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।