DA Case Supreme Court: DA মামলার চূড়ান্ত পর্ব? আজই কি রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট?

DA Case Supreme Court: আজ, অর্থাৎ মঙ্গলবার, ৫ই আগস্ট, ২০২৫, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। বহু প্রতীক্ষিত মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) মামলার গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হতে চলেছে আজ সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলাটি শুধুমাত্র কর্মীদের আর্থিক স্বার্থের সাথেই জড়িত নয়, এটি তাদের অধিকার এবং আত্মসম্মানের লড়াইও। আসুন দেখে নেওয়া যাক, আজকের শুনানিতে কী হতে পারে এবং চূড়ান্ত রায়ের সম্ভাবনা কতটা।
কেন আজকের শুনানি এত গুরুত্বপূর্ণ?
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তারা এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চান। গত শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় করোল এই মামলার নিষ্পত্তির দিকেই মনোভাব দেখিয়েছিলেন। যা কর্মীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে এবং ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আজই একটি দিশা মিলতে পারে।
আজকের শুনানিতে নিম্নলিখিত কয়েকটি সম্ভাব্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে:
- চূড়ান্ত রায়: একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় তাদের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করতে পারে। যদি তা হয়, তবে এটি রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কর্মীর জন্য এক ঐতিহাসিক রায় হবে।
- স্থগিতাদেশ: রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত মহার্ঘভাতা দেওয়া পিছিয়ে দিতে পারে, যদিও তার সম্ভাবনা কম বলেই মনে হচ্ছে।
- মধ্যস্থতার নির্দেশ: আদালত রাজ্য সরকার এবং কর্মী সংগঠনগুলিকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার নির্দেশও দিতে পারে। বিশেষ করে ডিএ পেমেন্ট ও তার হিসাব সংক্রান্ত ব্যাপারে।
এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি
এই মামলা দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়ে আসছেন। কলকাতা হাইকোর্ট কর্মীদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল, কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়।
সুপ্রিম কোর্টেও এই মামলার একাধিক শুনানি হয়েছে। আদালত কর্মী সংগঠনগুলিকে তাদের বক্তব্য একত্রিত করে একটি “সাধারণ বিষয়” (common issues) তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে শুনানিতে যুক্তির পুনরাবৃত্তি এড়ানো যায় এবং মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়।
কর্মী সংগঠনগুলির প্রস্তুতি
ইউনিটি ফোরাম, কনফেডারেশন, কর্মচারী পরিষদ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মতো বিভিন্ন কর্মী সংগঠনগুলি এই মামলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। তারা তাদের সওয়াল-জবাবের জন্য সময়ও ভাগ করে নিয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য হল এটা প্রমাণ করা যে মহার্ঘ ভাতা কর্মীদের একটি মৌলিক অধিকার এবং রাজ্য সরকার তা দিতে বাধ্য।
আজকের শুনানির দিকেই এখন সকলের নজর। সরকারি কর্মীরা কি আজ তাদের ন্যায্য অধিকার পাবেন? রাজ্য সরকার কি আদালতের নির্দেশ মেনে নেবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে আজই। সারা বাংলার সরকারি কর্মীরা তাকিয়ে আছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দিকে, এই আশায় যে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে এবং কর্মীরা তাদের দীর্ঘদিনের প্রাপ্য ফিরে পাবেন।