DA Case Today: আজ ডিএ মামলার দীর্ঘ শুনানি, রাজ্য সরকারের যুক্তিতে অসঙ্গতি, সম্পূর্ণ ন্যায়ের পথে এগোচ্ছে মামলা!

DA Case Today: মহার্ঘভাতা (DA) মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আজ দীর্ঘ মামলা হল। আজ শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের যুক্তিতে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে মনে করছেন সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবীরা। একই সঙ্গে, আদালত অবমাননার পরিবর্তে ‘সম্পূর্ণ ন্যায়’ (Complete Justice) প্রতিষ্ঠার দিকে এগোচ্ছে এই মামলা, যা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বড় আশার আলো দেখাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের যুক্তিতে অসঙ্গতি
মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক আইনজীবী সওয়াল করেন। সরকারি কর্মচারীদের পক্ষের আইনজীবীদের মতে, রাজ্যের আইনজীবীদের যুক্তির মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে। যেমন, একজন আইনজীবী বলেন যে ডিএ প্রদানের জন্য কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করতে আদালত সরকারকে বাধ্য করতে পারে না। অথচ, অপর এক সিনিয়র আইনজীবী বলেন যে ডিএ দিতে হলে সরকারকে বিপুল পরিমাণ টাকা ধার করতে হবে, যার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতির প্রয়োজন। এই দুই পরস্পরবিরোধী যুক্তি রাজ্যের অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আদালতের কঠোর মনোভাব
শুনানিতে বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোল অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ কার্যকর করার বিষয়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন। যখন রাজ্য সরকার টাকার পরিমাণ এবং গণনার অজুহাত দেখায়, তখন বিচারপতি করোল বলেন যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা এককালীন দিয়ে দেওয়া হোক, এমনকি তা যদি একটি ‘X পরিমাণ’ও হয়। আদালতের এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, রাজ্য সরকারের ডিএ প্রদানে বিলম্ব করার কৌশল আদালত বুঝতে পেরেছে।
‘সম্পূর্ণ ন্যায়’ প্রতিষ্ঠার পথে মামলা
এই মামলা এখন আর শুধুমাত্র আদালত অবমাননা বা ২৫% বকেয়া আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আদালত ‘সম্পূর্ণ ন্যায়’ প্রতিষ্ঠার দিকে এগোচ্ছে, যার অর্থ হল ডিএ সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান। এর ফলে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আর বারবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে না।
ডিএ কি আইনি অধিকার?
রাজ্য সরকার বারবার দাবি করে আসছে যে ডিএ কোনও মৌলিক অধিকার নয়। কিন্তু, মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীরা জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি একটি ‘আইনত প্রয়োগযোগ্য অধিকার’ (legally enforceable right), যা মৌলিক অধিকারের সমতুল্য।
পরবর্তী পদক্ষেপ
এই মামলার চূড়ান্ত রায় রাজ্য সরকারের স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) খারিজ করে দিতে পারে এবং AICPI (সর্বভারতীয় গ্রাহক মূল্য সূচক) অনুযায়ী ১০০% ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে। মামলাকারী সংগঠনগুলি তাদের যুক্তি নিয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং তারা এই মামলায় জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।
এই মামলার চূড়ান্ত রায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বড় জয় নিয়ে আসতে পারে এবং তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতে পারে। আগামীকাল এই মামলার আবার শুনানি হবে। এখন দেখার বিষয়, আদালত কবে এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে।