Dearness Allowance

DA Case Today: ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আজ সারাদিন কী হলো বিস্তারিত জেনে নিন

DA Case Today: রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আজকের শুনানিতে দিনভর চলল টানটান উত্তেজনা। মামলাটি আজ বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে ওঠে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম এবং অন্যান্য আইনজীবীরা এবং অন্যদিকে রাজ্যের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং অন্যান্য আইনজীবীরা। আজকের শুনানিতে উঠে এল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও যুক্তি, যা মামলাকে এক নতুন দিশা দেখাল। আসুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

শুনানির মূল বিষয়বস্তু

আজকের শুনানিতে মূলত দুটি প্রধান বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়:

  • সর্বভারতীয় উপভোক্তা মূল্য সূচক (AICPI): কর্মীদের আইনজীবীরা জোরালো সওয়াল করেন যে, মহার্ঘ ভাতা সর্বভারতীয় উপভোক্তা মূল্য সূচক (AICPI) অনুযায়ীই হওয়া উচিত। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, ১৯৮২ সালের নিয়ম অনুযায়ী ১০০% নিউট্রালাইজেশনের কথা বলা আছে, যা AICPI-এর দিকেই ইঙ্গিত করে।
  • বছরে দুবার ডিএ: বছরে দুবার ডিএ দেওয়ার যে দাবি, সেই বিষয়েও আইনজীবীরা সওয়াল করেন। তাঁরা বলেন, রাজ্যের সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়মিত ডিএ দিচ্ছে না, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রমাণ

শুনানির সময় কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম দুটি আরটিআই (RTI) কপির কথা উল্লেখ করেন, যা দেবপ্রসাদ হালদারের করা। এই আরটিআই থেকে জানা যায় যে, বঙ্গ ভবন এবং চেন্নাইয়ের কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান এবং বঙ্গ ভবনের জন্য একটি স্থায়ী আদেশও রয়েছে। এই তথ্যটি রাজ্যের স্পেশাল লিভ পিটিশনকে (SLP) সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে, যা এই মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে উঠে আসে।

বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য

শুনানি চলাকালীন বিচারপতিরা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন। বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র বারবার জানতে চান যে, হাইকোর্ট ডিএ দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলেছিল কিনা। এর উত্তরে জানানো হয় যে, হাইকোর্ট এবং ট্রাইব্যুনাল উভয়ই AICPI অনুযায়ী ডিএ দেওয়ার কথা বলেছিল এবং রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করতে বলেছিল।

যখন বিচারপতিরা জানতে পারেন যে, কর্মীদের বিপুল পরিমাণ ডিএ বকেয়া রয়েছে (রোপা ২০০৯ অনুযায়ী ২৭ মাস এবং রোপা ২০১৯ অনুযায়ী ৪ বছর), তখন তাঁরা রসিকতার সুরে মন্তব্য করেন যে, এটা ব্যবসার মতো শোনাচ্ছে যেখানে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এই মন্তব্য থেকে কর্মীদের আইনজীবীরা মনে করছেন যে, বিচারপতিরা রাজ্যের অন্যায্য অবস্থান সম্পর্কে অবগত। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এক পর্যায়ে বলেন, “বোঝাই যাচ্ছে আপনারা কিছু দিতে চান না”, যা রাজ্যের সদিচ্ছার অভাবকে স্পষ্ট করে।

মামলার ভবিষ্যৎ

আজকের শুনানি শেষ হয়নি, আগামীকাল আবার শুনানি চলবে। কর্মীদের পক্ষের আইনজীবীরা আশাবাদী যে, বিচারপতিরা AICPI-এর নীতি মেনে নেবেন এবং কর্মীদের পক্ষে “সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার” হবে। বঙ্গ ভবনের কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার বিষয়টি রাজ্যের যুক্তিকে অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার এর উত্তরে কী যুক্তি পেশ করে এবং চূড়ান্ত রায় কোন দিকে গড়ায়।

WBPAY

The site wbpay.in is a collaborative platform voluntarily monitored by a dedicated group of reporters of West Bengal. The site features insightful posts and articles authored by experts in various fields, ensuring high-quality content that informs and engages the community. With a focus on transparency and public service, wbpay.in aims to provide valuable resources and updated news relevant to the citizens and employees of West Bengal. For any query please mail us at [email protected]

Related Articles

Back to top button