DA Case Update: ডিএ মামলায় বিরাট খবর! ২৬শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে ফিরছেন পূর্বের বিচারপতি, এবার কি মিলবে বকেয়া?

DA Case Update: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর। মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলার শুনানি হতে চলেছে আগামী ২৬শে আগস্ট, ২০২৫। সুপ্রিম কোর্টের এই শুনানিকে ঘিরে কর্মচারী মহলে তৈরি হয়েছে নতুন আশা ও উত্তেজনা, কারণ এই শুনানিতে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে যা মামলার ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে।
২৬শে আগস্টের শুনানির গুরুত্ব
আসন্ন এই শুনানিটি সুপ্রিম কোর্টের দৈনন্দিন কার্যতালিকার চার নম্বর আইটেম হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, কারণ সাধারণত তালিকার প্রথম দিকে থাকা মামলাগুলি বিস্তারিতভাবে শোনার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়। এর থেকে অনুমান করা যায় যে, আদালত এই মামলাটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সম্ভবত একটি দীর্ঘায়িত শুনানির জন্য প্রস্তুত। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রাপ্য ডিএ-র জন্য লড়াই করছেন, এবং এই শুনানি তাদের সেই লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপুর্ণ মোড় হতে পারে।
বিচারপতি সন্দীপ মেহতার প্রত্যাবর্তন
এবারের শুনানির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে ফেরা। এর আগে বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চই কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিয়ে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তী কয়েকটি শুনানিতে বিচারপতি মেহতাকে দেখা না গেলেও, ২৬শে আগস্টের শুনানিতে তিনি আবার বিচারপতি করোলের সাথে যুগ্মভাবে এই মামলা শুনবেন। যে দুই বিচারপতির বেঞ্চ কর্মচারীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল, তাদের পুনরায় একসাথে এই মামলা শোনা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক।
- ঐতিহাসিক বেঞ্চ: বিচারপতি করোল ও মেহতার এই বেঞ্চটিই ১৬ই মে, ২০২৫-এ ২৫% বকেয়া ডিএ প্রদানের ঐতিহাসিক নির্দেশ দিয়েছিল।
- ধারাবাহিকতা: একই বেঞ্চের মামলার ধারাবাহিক শুনানিতে রায়ের সামঞ্জস্য বজায় থাকার সম্ভাবনা বাড়ে, যা কর্মচারীদের জন্য আশাব্যঞ্জক।
- আস্থার প্রতীক: এই বেঞ্চের প্রতি কর্মচারীদের আস্থা থাকায় তাদের মনোবল আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আদালত অবমাননার মামলা
মূল ডিএ মামলার সাথে আরও তিনটি আদালত অবমাননার মামলাকে যুক্ত করা হয়েছে। রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ প্রদান না করায় বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছিল। মূল মামলার সাথে এই মামলাগুলির শুনানি হওয়ায় রাজ্য সরকারের উপর চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আদালত যদি অবমাননার বিষয়ে কঠোর মনোভাব দেখায়, তবে রাজ্য সরকার দ্রুত বকেয়া মেটাতে বাধ্য হতে পারে।
সম্ভাব্য ফলাফল ও কর্মচারীদের প্রত্যাশা
২৬শে আগস্টের এই শুনানি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতি সন্দীপ মেহতার প্রত্যাবর্তন এবং আদালত অবমাননার মামলাগুলির সংযুক্তি এই মামলার গুরুত্বকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কর্মচারীরা আশা করছেন যে, সুপ্রিম কোর্ট তাদের দীর্ঘদিনের এই ন্যায্য দাবিকে মান্যতা দেবে এবং রাজ্য সরকারকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশ দেবে। এখন সকলের চোখ সুপ্রিম কোর্টের দিকে, এই মামলার চূড়ান্ত রায় কী হয় তা দেখার জন্য।