DA Case Update: ডিএ মামলার শুনানি এগিয়ে এল! নতুন বেঞ্চে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ফের সুপ্রিম কোর্টের তালিকায়

DA Case Update: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর। সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলার শুনানির দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত ১১ই সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে, মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫। এই পরিবর্তন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে, যদিও মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা এখনও জারি রয়েছে।
শুনানির দিন পরিবর্তন এবং নতুন বেঞ্চ গঠন
সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বনাম রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির এই মহার্ঘ ভাতা মামলাটি (ডায়েরি নং – 35292/2022) এখন সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনেই শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। মামলাটি বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে। এটি “Motion Hearing” তালিকার একেবারে শীর্ষে (TOP OF THE LIST FOR ADMISSION) রয়েছে, যা থেকে আশা করা যায় যে ওই দিন মামলাটির শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই বেঞ্চে বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র থাকছেন না। বেঞ্চের এই পরিবর্তন মামলার গতিপ্রকৃতিতে কোনো নতুন মোড় আনে কিনা, সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছেন সকলে। পূর্বের শুনানির তারিখ ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে এগিয়ে ১লা সেপ্টেম্বর হওয়ায় কর্মচারী সংগঠনগুলি কিছুটা হলেও স্বস্তিতে, কারণ তারা দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি চাইছেন।
মামলার প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি
দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি জানিয়ে আসছেন। তাঁদের মূল অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের তুলনায় তাঁরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন ডিএ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে। বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যেখানে ১৮% হারে ডিএ পাচ্ছেন, সেখানে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ-এর পরিমাণ ৫৫%। এই বিশাল ফারাক কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে।
মামলাটি কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়। কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে রায় দিয়ে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করে। এরপর থেকেই শীর্ষ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।
এর আগে, বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে বকেয়া ডিএ-এর ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে সেই নির্দেশ পালনেও অপারগতা প্রকাশ করে এবং রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। এই পরিস্থিতিতে, আগামী ১লা সেপ্টেম্বরের শুনানি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।
কর্মচারীদের প্রত্যাশা
রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি আশা করছে যে, সুপ্রিম কোর্ট এ বার রাজ্যের টালবাহানার অবসান ঘটিয়ে একটি চূড়ান্ত রায় দেবে। তাদের দাবি, মহার্ঘ ভাতা কোনো দয়া বা অনুদান নয়, এটি তাদের আইনত অধিকার। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির বাজারে বকেয়া ডিএ না পাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রার মান প্রভাবিত হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, ১লা সেপ্টেম্বরের শুনানিতে শীর্ষ আদালত কোন পথে হাঁটে এবং রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ভাগ্য কোন দিকে মোড় নেয়।