DA Case Update: ডিএ মামলায় নাটকীয় মোড়! সময়সীমা শেষের দিনে সুপ্রিম কোর্টে মেনশনিং রাজ্যের

DA Case Update: সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মীদের অপেক্ষার অবসান যেন হচ্ছেই না। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ৮ই সেপ্টেম্বর শেষ হলেও, রাজ্য সরকারের একটি নতুন পদক্ষেপে আবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মামলাটি নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহলে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা ডিএ মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং রাজ্য সরকারের নতুন পদক্ষেপের সম্ভাব্য কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও আজকের পরিস্থিতি
গত ৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়। মাননীয় বিচারপতিদ্বয় রাজ্য সরকারকে তাদের নতুন কোনো বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে জমা দেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা আজ, অর্থাৎ ২২শে সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। অপরদিকে, কর্মচারী সংগঠনগুলিকে রাজ্যের বক্তব্যের প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সময়সীমা শেষ হওয়ার দিনেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের নতুন পদক্ষেপ
গতকাল, ২১শে সেপ্টেম্বর, রবিবার, রাত্রি ৯টা ১৬ মিনিটে রাজ্যের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড, শ্রী কুণাল মিমানি, কর্মচারী সংগঠনগুলির আইনজীবীদের কাছে একটি ইমেল পাঠান। ওই ইমেলে জানানো হয় যে, রাজ্য সরকার আজ, ২২শে সেপ্টেম্বর, সকাল ১০:৩০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের ১২ নম্বর কোর্টে মাননীয় বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারলের বেঞ্চে ডিএ মামলাটি আবার মেনশন করতে চায়। এই ইমেলটি সরকারি কর্মচারী পরিষদ, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এবং ইউনিটি ফোরামের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডদের পাঠানো হয়েছে এবং তাঁদের উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কেন এই নতুন পদক্ষেপ?
রাজ্য সরকারের এই হঠাৎ পদক্ষেপের কারণ নিয়ে কর্মচারী মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। আইনি বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সম্ভাবনার কথা বলছেন:
- সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন: হতে পারে রাজ্য সরকার তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় চাইতে পারে।
- নতুন তথ্য সংযোজন: এমনও হতে পারে যে রাজ্য সরকার মামলা সংক্রান্ত কোনো নতুন তথ্য বা যুক্তি আদালতের সামনে তুলে ধরতে চায়।
- অন্যান্য আইনি কৌশল: এটি রাজ্য সরকারের কোনো আইনি কৌশলও হতে পারে, যার মাধ্যমে তারা মামলার গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারে।
তবে, আসল উদ্দেশ্য কী, তা আজ আদালতে মেনশন করার পরেই স্পষ্ট হবে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে ডিএ মামলার নিষ্পত্তি আরও কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আপাতত, সমস্ত নজর আজকের সুপ্রিম কোর্টের দিকে। পরবর্তী আপডেট পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা আপনাদের জানাতে থাকব।