DA Case Update: ডিএ মামলায় নতুন মোড়: সময়সীমা শেষ, সুপ্রিম কোর্টে কেন নীরব সব পক্ষ?

DA Case Update: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলা ফের একবার প্রশ্নের মুখে। গত ১৬ই মে, ২০২৫ তারিখে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলায় জড়িত সমস্ত পক্ষকে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহের সময় দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও কোনো পক্ষই তাদের বক্তব্য জমা দেয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে।
মূল ঘটনা
সুপ্রিম কোর্ট ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার, আবেদনকারী এবং অন্যান্য সংগঠনগুলিকে তাদের লিখিত বক্তব্য জানানোর জন্য যে চার সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছিল, তা ১৩ই জুন, ২০২৫ তারিখে শেষ হয়েছে। কিন্তু ১৪ই জুন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে কোনো পক্ষের তরফ থেকে কিছু জমা পড়ার কোনো তথ্য মেলেনি। অর্থাৎ, রাজ্য সরকার বা অন্য কোনো পক্ষই এই বিষয়ে তাদের লিখিত বক্তব্য পেশ করেনি।
কেন এই বিলম্ব?
এই বিষয়ে বিভিন্ন সম্ভাবনা উঠে আসছে:
- নতুন যুক্তির অভাব: এমন হতে পারে যে, মামলায় জড়িত কোনো পক্ষের কাছেই নতুন কোনো যুক্তি বা তথ্য নেই যা তারা আদালতের সামনে তুলে ধরতে চায়।
- আদালতের গ্রীষ্মকালীন ছুটি: বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। তাই ছুটির পরে “condonation of delay” বা বিলম্ব মার্জনার আবেদন জানিয়ে লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়া হতে পারে।
- কৌশলগত পদক্ষেপ: কোনো পক্ষ হয়তো কৌশলগত কারণে এখনই তাদের বক্তব্য জানাতে চাইছে না। তারা হয়তো প্রতিপক্ষের পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছে।
পরবর্তী শুনানি
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ঠা আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। সেই দিনই হয়তো এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা স্পষ্ট হবে। তবে, ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যে উত্তেজনা রয়েছে, তা এখনও অব্যাহত। আগামী দিনে এই মামলার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই সকলের নজর থাকবে।
ডিএ মামলা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই মামলার রায়ের ওপর তাদের আর্থিক ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই, সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি পদক্ষেপ এবং প্রতিটি শুনানি তাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী দিনে এই মামলার কী হয়, তা সময়ই বলবে।