ডিএ

DA Case Today: সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের নতুন চাল! ডিএ মামলায় আজ কী হল? বলল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ

DA Case Today: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের নতুন যুক্তি ঘিরে চাঞ্চল্য। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে ভাস্কর ঘোষ এবং আইনজীবী বিক্রম ব্যানার্জী আজকের শুনানির পর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তাঁদের মতে, রাজ্য সরকার মামলাকে ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে।

আজ সুপ্রিম কোর্টে কী ঘটল?

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলার শুনানি আজ সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির পর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এবং তাদের আইনজীবী বিক্রম ব্যানার্জী জানান যে, রাজ্য সরকার কিছু নতুন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য আদালতে পেশ করেছে। তাঁদের মতে, এই যুক্তিগুলো এর আগে ট্রাইব্যুনাল বা হাইকোর্টে কখনও তোলা হয়নি।

আদালতের আজকের পর্যবেক্ষণ এবং দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের ভিত্তিতে মামলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে, যা নিম্নরূপ:

রাজ্য সরকারের নতুন যুক্তি

রাজ্য সরকারের আইনজীবী, কপিল সিব্বল, আজ শুনানিতে মূলত দুটি নতুন যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেন:

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন
  • তামিলনাড়ু মডেলের বিভ্রান্তিকর তুলনা: রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, তারা চেন্নাইয়ের গেস্ট হাউসের কর্মচারীদের তামিলনাড়ু সরকারের হারে ডিএ দিচ্ছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মতে এটি একটি অসত্য দাবি। ভাস্কর ঘোষের কথায়, “বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে তামিলনাড়ু সরকার সেই সময় AICPI থেকে বেশি ডিএ দিত।” তাঁদের কাছে এর প্রমাণও রয়েছে বলে তিনি জানান।
  • ROPA সংক্রান্ত নতুন ব্যাখ্যা: রাজ্য সরকারের আইনজীবীর দ্বিতীয় যুক্তিটি ছিল ROPA (Revision of Pay and Allowances) সংক্রান্ত। তিনি বলেন যে, ডিএ পাওয়ার অধিকার সরাসরি ROPA-তে নেই, বরং এটি দুটি স্মারকলিপির (Clarificatory Memorandum) উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়।

আদালত এই নতুন যুক্তি প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলে যে, কেন এই বিষয়গুলি এতদিন পর সর্বোচ্চ আদালতে তোলা হচ্ছে, যা আগে কখনও তোলা হয়নি।

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিক্রিয়া ও রণকৌশল

শুনানির পর ভাস্কর ঘোষ এবং আইনজীবী বিক্রম ব্যানার্জী দুজনেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে “সময় নষ্টের কৌশল” (Dilatory Tactic) বলে অভিহিত করেছেন।

ভাস্কর ঘোষ যা বললেন:

ভাস্কর ঘোষ কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেন যে, এই নতুন যুক্তিতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। তাঁর মতে, রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মামলা দীর্ঘায়িত করে কর্মীদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে দিতে চাইছে, যাতে তাঁরা ভালো আইনজীবী দিতে না পারেন। তিনি বলেন, “এই লড়াইয়ে আমরাই জিতব। আদালতও সরকারের এই বিলম্বের কৌশল বুঝতে পারছে।”

আইনজীবী বিক্রম ব্যানার্জীর বিশ্লেষণ:

আইনজীবী বিক্রম ব্যানার্জী জানান যে, রাজ্য সরকারের এই নতুন যুক্তির যথাযথ জবাব তাঁদের কাছে প্রস্তুত আছে, যা তাঁরা সঠিক সময়ে আদালতে পেশ করবেন। তিনি বলেন, “সরকারের এই ডিলেটরি ট্যাকটিস ছাড়া আর কিছু করার নেই।” তিনি আরও জানান যে, এই নতুন যুক্তি তুলে রাজ্য সরকার আসলে শুনানিকে আরও দীর্ঘায়িত করতে চাইছে।

পরবর্তী শুনানি কবে?

এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার, দুপুর ২টোয় ধার্য করা হয়েছে। সেদিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কপিল সিব্বলের অসমাপ্ত সওয়াল শেষ হওয়ার পর কর্মচারী সংগঠনগুলির আইনজীবীরা তাঁদের জবাবি যুক্তি পেশ করবেন। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এখন মঙ্গলবারের শুনানির দিকেই তাকিয়ে আছেন।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button