DA Case Update: ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আজ কী হল, দেখুন বিস্তারিত তথ্য

DA Case Update: পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত মামলার শুনানি আবারও পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, বেঞ্চ গঠন না হওয়ায় শুনানি মুলতবি রাখা হয়। এই ঘটনায় রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী তাকিয়ে আছেন পরবর্তী শুনানির তারিখের দিকে।
শুনানির দিনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
এদিন সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি শুরু হলে, রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবাল আদালতকে জানান যে নির্দিষ্ট বেঞ্চ গঠন হয়নি। ফলস্বরূপ, বিচারপতিরা মামলাটি অন্য দিনের জন্য ধার্য করার সিদ্ধান্ত নেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তে মামলাকারী পক্ষ এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে প্রতীক্ষার প্রহর শুরু হয়েছে।
পরবর্তী শুনানির তারিখ কবে?
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি একটি সোমবার বা শুক্রবারে “ইন্টারেক্টেড হেয়ারিং” হিসাবে অনুষ্ঠিত হবে। যদিও নির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে আশা করা হচ্ছে যে দিনের শেষেই নতুন তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। এই ইন্টারঅ্যাকটেড হেয়ারিং-এর অর্থ হল, উভয় পক্ষের আইনজীবীরা একে অপরের যুক্তি খণ্ডন করার সুযোগ পাবেন, যা মামলার নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বেঞ্চের গঠন অপরিবর্তিত
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পরবর্তী শুনানিতেও বেঞ্চের গঠন অপরিবর্তিত থাকছে। অর্থাৎ, আগের বেঞ্চের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রই এই মামলার শুনানি করবেন। এটি মামলাকারীদের জন্য একটি স্বস্তির খবর হতে পারে, কারণ তারা মনে করছেন যে একই বেঞ্চ থাকলে মামলার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং নিষ্পত্তির সম্ভাবনা বাড়বে।
মামলাকারীদের আইনজীবীর অনুরোধ এবং আদালতের অবস্থান
এদিন মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিক্রম ব্যানার্জী (গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের জুনিয়র) আদালতকে অনুরোধ করেন যাতে পরবর্তী শুনানির তারিখ ৮ই সেপ্টেম্বরের পরে রাখা হয়। তবে, আদালত তাঁর এই অনুরোধ সরাসরি খারিজ করে দেয়। বিচারপতিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, আইনজীবীর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর শুনানির তারিখ নির্ভর করবে না। আদালতের এই কঠোর অবস্থান থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, তারা দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করতে চাইছে।
সব মিলিয়ে, ডিএ মামলার এই সর্বশেষ পরিস্থিতি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য কিছুটা হতাশাজনক হলেও, পরবর্তী শুনানির তারিখ দ্রুত ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা একটি নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, কবে এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হন কি না।