Dearness Allowance

DA Case Update: আজ ডিএ মামলা উঠছে সুপ্রিম কোর্টে, পাল্লা ভারী কাদের? আজ রায়দানের সম্ভাবনা কতটা দেখুন

DA Case Update: দীর্ঘ ১১২ দিন অপেক্ষার পর আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলাটি শুনানির জন্য উঠছে। পশ্চিমবঙ্গের সকল রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং পেনশন গ্রহণকারীরা এই মামলার দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন। এই মামলার উপর নির্ভর করছে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা এবং ভবিষ্যতের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

শেষবার মামলাটি উঠেছিল ১৪ জুলাই ২০২৩, ঐদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যেহেতু মামলাটির এক্সটেনসিভ কনসিডারেশন (extensive consideration) এর প্রয়োজন তাই এই মামলাটি নভেম্বর মাসে শুনানি হবে। পরবর্তী সময় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপডেট দিয়ে জানানো হয়েছে যে এই মামলা আজ অর্থাৎ ৩ নভেম্বর উঠছে।

এই মামলাটি আজ সুপ্রিম কোর্টের ৮ নম্বর কোর্টে উঠবে এবং যার আইটেম নম্বর হয়েছে ৬০ । অর্থাৎ মামলাটি অন্যান্য মামলার মধ্যে সবচেয়ে শেষে শুনানিতে রাখা হয়েছে। এই মামলার বিচারপতি থাকবেন জাস্টিস হৃষিকেশ রায় এবং জাস্টিস সঞ্জয় কারোল।

পশ্চিমবঙ্গের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলাটি সর্বপ্রথম SAT এ করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল মহার্ঘ ভাতা নাকি দয়ার দান। স্যাট এ এই মামলা রাজ্য সরকারের পক্ষেই গিয়েছিল। তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এই মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে যান। কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত বকেয়া সহ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে নির্দেশ করে। তবে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি বেশ কয়েকবার শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েও কোন সুরাহা হয়নি।

আরো দেখুন: DA Case Update: ডিএ মামলা কি আদৌ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে, নাকি আবার পরের বছরে, কী জানা গেল দেখুন

পশ্চিমবঙ্গ অর্থ দপ্তরের প্রকাশিত রোপা ২০০৯ অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার জন্য উপযোগী। তবে সেই মহার্ঘ ভাতা যে AICPI সূচক মেনে নির্ধারণ করা হবে তার কোন উল্লেখ ছিল না। কিন্তু আমরা যদি লক্ষ্য করি কেন্দ্র সরকার তাদের কর্মচারীদের জন্য এই সূচক মেনে প্রতি ছয় মাস অন্তর মহার্ঘ ভাতা পর্যালোচনা করে। প্রায় একই রকম নিয়ম অনুসরণ করে ভারতের অধিকাংশ রাজ্যই। রাজ্য সরকারের নিয়মের যদি কোনো রকম বৈষম্য থাকে তবে তা স্পষ্ট করে দেওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টই পারবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে।

তবে আজকের এই মামলার প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারীরা বেশ আশাবাদী। মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গর্ভমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় এই নিয়ে বলেন, ‘মামলাটা সবশেষে উঠবে। সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্টে তার উল্লেখ আছে। এই নিয়ে আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মামলা শোনার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ওই বেঞ্চে এক্সটেনসিভ হেয়ারিং হবে। সেক্ষেত্রে নিশ্চয় আমাদের মামলাটাও শোনা হবে বলে আশা করছি। তবে আমাদের আশাটা শেষ কথা নয়। সুপ্রিম কোর্টের বিষয় যেহেতু, তাই আমাদের এক্ষেত্রে বলার কিছু থাকে না। তবে এটাও ঠিক যে ডিএ-র মতো একটা মামলা যেদিকে রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী তাকিয়ে আছে সেই মামলা এই নিয়ে ১০ বার উঠছে। এমনটা হবে কেন? সুপ্রিম কোর্টকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু যেখানে এই রাজ্যের অন্য অনেক মামলা দিনের দিন শুনানি হয়ে যাচ্ছে, সেখানে মহার্ঘ ভাতার মামলা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে কেন?’

মলয় মুখোপাধ্যায়ের আরও সংযোজন, ‘সামগ্রীকভাবে কর্মচারী সমাজ এই মামলার দিকে তাকিয়ে। সুপ্রিম কোর্ট যা নির্দেশ দেবে তা আমরা মেনে নেব। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। শীর্ষ আদালতকে সম্মান করি। সুপ্রিম কোর্টে মামলার খরচ অনেক। সরকারি কর্মীরা বিশ্বাস করে আমাদের চাঁদা দেয় এই মামলা লড়ার জন্য। আমাদের তো কালো টাকা নেই যে এত টাকা রাতারাতি চলে আসবে। বারবার আমাদের মামলার জন্য কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে হচ্ছে। আমরা আশা করব এই মামলার নিষ্পত্তি ৩ তারিখে হবে। আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী। আমরা চাই শুনানিটা হোক। সুপ্রিম কোর্ট মামলাটা শুনুক।’ 

আর এক মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, ‘সিরিয়াল নম্বর দেখে আশঙ্কা থেকে যায়, এত পেছনে মামলাটি থাকার ফলে আদৌ শুনানি হবে কি না । কিংবা হলেও আবার একটি তারিখ দেওয়া হবে না তো?  আমরা গতবছর দেখেছি তালিকায় শেষের দিকে ডিএ মামলা থাকলেও শুনানি হয়েছে। একাধিবার হয়েছে এরকম। তবে এ কথা ঠিক যে নিষ্পত্তি হয়নি কোনদিন। তবে এবার আমাদের সংগঠনের পক্ষে আইনজীবীরা নিষ্পত্তির জন্য জোরালো সওয়াল করবেন। সেই লক্ষ্যেই তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরা আশাবাদী।’ 

Back to top button