DA Case Update: কেন রায়দানের জন্য সময় নিলেন বিচারপতি? কী বললেন মলয় মুখোপাধ্যায়?
DA Case Update: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ (DA) বা মহার্ঘ ভাতা মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর। এখন শুধুমাত্র রায়ের অপেক্ষা। এই প্রতিবেদনে আমরা মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি, সম্ভাব্য রায়ের তারিখ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মুখ্য বিষয় গুলি
এই মামলার মূল বিষয়গুলি হল:
- সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার ২৮ থেকে ২৯টি শুনানির পর চূড়ান্ত শুনানি সমাপ্ত হয়েছে।
- আদালত রায়দান সংরক্ষিত রেখেছে, অর্থাৎ চূড়ান্ত রায় পরে ঘোষণা করা হবে।
- আবেদনকারীদের এক সপ্তাহের মধ্যে এবং রাজ্য সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কবে রায় বেরোতে পারে?
একটি সাক্ষাৎকারে কনফেডারেশন অফ স্টেট্ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখার্জির মতে, পুজোর ছুটির আগে ডিএ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার পর আদালতের দীপাবলির ছুটি শুরু হয়ে যাবে। তাই আশা করা হচ্ছে, দীপাবলির ছুটির পর, অর্থাৎ অক্টোবর মাসের শেষে বা নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে। মলয়বাবু রায় নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী এবং ১০০ শতাংশ ইতিবাচক ফলাফলের আশা করছেন, যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে আদালতের রায় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা আদালত অবমাননার সামিল।
শুনানির কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
শুনানি চলাকালীন কিছু লক্ষণীয় বিষয় ছিল। যেমন, রাজ্য সরকারের আইনজীবী, বর্ষীয়ান কপিল সিবাল, মাত্র তিন মিনিট বক্তব্য রাখেন, যদিও তিনি পাঁচ মিনিট সময় চেয়েছিলেন। আদালত সেদিনই শুনানি শেষ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। রাজ্য সরকার তহবিলের অভাবের কথা বললেও, আদালত সেই যুক্তিতে খুব বেশি প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে হয়নি।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনআর্থিক সহায়তার আবেদন
এই দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়েছে। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের বিভিন্ন জেলা কমিটি এবং বিভাগীয় সংগঠনগুলি আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বক্তা সমস্ত কর্মচারী, শিক্ষক এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের তাদের সমর্থন ও আর্থিক সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর চোখ এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। এই রায় তাদের জন্য শুধুমাত্র আর্থিক দিক থেকেই নয়, বরং নৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার বিষয়, আদালত শেষ পর্যন্ত কী রায় দেয় এবং রাজ্য সরকার সেই রায় কীভাবে কার্যকর করে। আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই এই দীর্ঘ লড়াইয়ের একটি সন্তোষজনক সমাধান হবে।