DA Strike: ধর্মঘটে ছুটি নিলেই বেতন কাটা? রাজ্য সরকারের নতুন ‘ডায়েস নন’ নির্দেশিকা সম্পর্কে জানুন

DA Strike: ৯ই জুলাই, ২০২৫-এর ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য অর্থ দপ্তরের তরফ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রধানত ডিএ এবং অন্যান্য দাবিতে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন দ্বারা ডাকা এই ২৪ ঘন্টার দেশব্যাপী ধর্মঘটের দিনে সমস্ত রাজ্য সরকারি অফিস খোলা থাকবে এবং কর্মচারীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা শুধুমাত্র একটি সাধারণ ঘোষণা নয়, এটি কর্মচারীদের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়। আসুন, এই নির্দেশিকার মূল বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
প্রধান নির্দেশিকা:
- অফিস খোলা থাকবে: ধর্মঘটের দিন, অর্থাৎ ৯ই জুলাই, ২০২৫ (বুধবার), সমস্ত রাজ্য সরকারি এবং সরকার দ্বারা অনুদানপ্রাপ্ত অফিসগুলি খোলা থাকবে এবং সমস্ত কর্মচারীকে অবশ্যই কাজে যোগ দিতে হবে।
- ছুটি বাতিল: ওই দিনে কর্মচারীদের জন্য কোনো নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave) বা অন্য কোনো ধরনের ছুটি (যেমন হাফ-ডে লিভ) মঞ্জুর করা হবে না।
- Dies-Non (ডায়েস নন): যদি কোনো কর্মচারী ওই দিন অনুপস্থিত থাকেন, তবে সেই দিনটিকে ‘ডায়েস নন’ হিসেবে গণ্য করা হবে। এর অর্থ হল, ওই দিনের জন্য কোনো বেতন দেওয়া হবে না এবং এটি সার্ভিসেও গণ্য হবেনা।
ছুটির ক্ষেত্রে ছাড়:
তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে অনুপস্থিতি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে, যার জন্য উপযুক্ত প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে। এই কারণগুলি হলো:
- কর্মচারীর হাসপাতালে ভর্তি থাকা।
- পরিবারে কোনো দুঃখজনক ঘটনা বা মৃত্যু।
- ৮ই জুলাই, ২০২৫-এর আগে থেকে গুরুতর অসুস্থতা এবং অনুপস্থিতি।
- ৮ই জুলাই, ২০২৫-এর আগে থেকে মঞ্জুর হওয়া শিশু যত্ন ছুটি (Child Care Leave), মাতৃত্বকালীন ছুটি (Maternity Leave), মেডিকেল লিভ (Medical Leave) বা অর্জিত ছুটি (Earned Leave)।
অনুপস্থিতির পরিণতি:
যেসব কর্মচারী উপরে উল্লিখিত গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- শোকজ নোটিশ: অনুপস্থিত কর্মচারীদেরকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে এবং তাঁদের কাছে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হবে।
- ডকুমেন্ট জমা: সন্তোষজনক উত্তর এবং প্রমাণপত্র দাখিল করতে পারলে, ছুটি মঞ্জুর হতে পারে।
- শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পদক্ষেপ: যদি কোনো কর্মচারী শোকজ নোটিশের জবাব না দেন বা তাঁর উত্তর সন্তোষজনক না হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি ৩১শে জুলাই, ২০২৫-এর মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এই বিষয়ে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকা থেকে স্পষ্ট যে, রাজ্য সরকার ধর্মঘটের দিনে স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর এবং কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছে।