Dearness Allowance: এবার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার রাস্তা খুলে গেল, মামলায় ঐতিহাসিক রায়

Dearness Allowance in 6th Pay Commission Report: কলকাতা হাইকোর্টের এক ঐতিহাসিক রায়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ সংক্রান্ত রিপোর্টটি অবিলম্বে প্রকাশ করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক শ্রী দেবপ্রসাদ হালদারের করা মামলার এই রায়ের খবরটি রাজ্যের হাজার হাজার কর্মীর মনে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে।
মামলার বিবরণ ও আদালতের নির্দেশ
বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত স্পষ্টভাবে রাজ্য সরকারকে দুটি প্রধান নির্দেশ দিয়েছে:
- অনলাইনে প্রকাশ: ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সম্পূর্ণ রিপোর্টটি অবিলম্বে অনলাইনে আপলোড করতে হবে।
- কপি প্রদান: রিপোর্টের একটি কপি মামলাকারী, অর্থাৎ ইউনিটি ফোরামকে হস্তান্তর করতে হবে।
আদালত আরও মন্তব্য করে যে, এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি এতদিন ধরে অপ্রকাশিত রাখা শুধু অনুচিতই নয়, বরং কর্মীদের প্রতি এক ধরনের অবিচার।
ইউনিটি ফোরামের লড়াই ও কর্মীদের অধিকার
শ্রী দেবপ্রসাদ হালদার জানান যে, প্রায় এক দশক ধরে রাজ্যের কর্মীরা এই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের মতে, এই রিপোর্টে কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) এবং বাড়ি ভাড়া ভাতা (HRA) সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, যা তাদের আর্থিক অধিকারের সঙ্গে জড়িত। ইউনিটি ফোরামের পক্ষ থেকে একাধিকবার আবেদন করা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার রিপোর্ট প্রকাশে গড়িমসি করায়, তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন। এই আইনি লড়াইকে ইউনিটি ফোরাম তাদের এক নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনসরকারের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান যে, আদালতের নির্দেশ পেলেই তারা রিপোর্ট প্রকাশ করতে প্রস্তুত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১লা জুলাই ধার্য করা হয়েছে। এই রায়ের ফলে এখন সব নজর রাজ্য সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। কর্মীরা আশা করছেন, খুব শীঘ্রই তারা তাদের বহু প্রতীক্ষিত বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন, যা তাদের ভবিষ্যতের অধিকার আদায়ে সহায়ক হবে। এই ঘটনাটি রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে এক নতুন আশার আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে আরও সচেতন করে তুলেছে।